নদী পথের নাব্যতা বাড়াতে ১৭৮টি ড্রেজিং মাস্টার প্ল্যান
দেশের নদী পথের নাব্যতা বাড়াতে ছোট-বড় নদীগুলো খননের জন্য সরকার ড্রেজিং মাস্টার প্ল্যান করেছে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
বিজ্ঞাপন
নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার কাজ চলছে। চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌ-পথ খনন এবং টার্মিনাল নির্মাণ হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ নৌ-পথের ৫৩টি রুটের ক্যাপিটাল ড্রেজিং, ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌ-পথের মেঘনা নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা উন্নয়নের কাজ চলমান আছে। এজন্য বিআইডব্লিউটিএ ১৭৮টি নদী খনন করে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার নৌ-পথ সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে চট্টগ্রাম-হাতিয়া থেকে ভাসানচরের সঙ্গে নৌ যোগাযোগ উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা নেওয়া হবে। জিনাই, ঘাঘট, বংশী ও নাগদা নদীর প্রবাহ পুনরুদ্ধারের জন্য শুষ্ক মৌসুমে নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৩৫টি ড্রেজারসহ ১৬১টি জলযান সংগ্রহ করা হবে। যার মাধ্যমে দেশের ছোট, বড় এবং মাঝারি নদীগুলো ড্রেজিং করা সম্ভব হবে।
গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর তীরভূমিতে ২০১০ থেকে এ পর্যন্ত ২১ হাজার ২৯৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ৭১৫ দশমিক ৮৯ একর তীর ভূমি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়। এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ৮৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে জুন ২০২২ সময়ে বাস্তবায়নে চার নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের কার্যক্রমের ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এইউএ/এমএইচএস