প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে আসা ফাইজারের করোনা টিকা রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার (৭ জুন) বিকেলে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২১ উপলক্ষে বিসিপিএস অডিটোরিয়ামে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ফাইজারের ডাইলুয়েন্ট মিশ্রণ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। আজ রাতে এটি আসার কথা রয়েছে। রেজিস্ট্রেশন যারা করেছেন, সিরিয়াল অনুযায়ী তারাই আগে পাবেন।

গত ২ জুন দুপুরে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, ফাইজারের টিকা প্রয়োগের আগেই এর সঙ্গে ডাইলুয়েন্ট নামক একটি মিশ্রণ যোগ করতে হবে। এ মিশ্রণের যোগের পরই দেশে ফাইজারের টিকা প্রয়োগ হবে।

করোনা রোগীদের চিকিৎসায় খরচের ব্যাখ্যা দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনাভাইরাস সংক্রমণের আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের চিকিৎসায় খরচ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মন্ত্রী বলেন, করোনার সময়ে অনেক ধরনের খরচ হয়, যার মধ্যে বাড়তি খরচও হয়। টিকা দেওয়া একটি খরচ, চিকিৎসা দেওয়া আরেকটি খরচ। চিকিৎসার বিষয়ে আমরা বলেছি নরমাল বেডে রোগীপ্রতি দৈনিক খরচ হয় ১৫ হাজার, আর আইসিইউতে খরচ হয় ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে অনেক দামি ওষুধ থাকে, অনেক সময় রেমডিসিভির দিতে হয়, ভ্যান্টিলেটর দিতে হয়, হাই-ফ্লো নাজাল ক্যানোলা লাগে। এছাড়াও ডাক্তারদের পিপিই ব্যবহার করতে হয়। দ্বিগুণ জনবল লাগে, অক্সিজেন লাগে। অর্থাৎ চিকিৎসার পেছনে যত ধরনের খরচ হয়, তার সবই সরকার বহন করে। আমাদের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট সবকিছু হিসেব করে এই খরচ বের করেছে।

তিনি বলেন, করোনা চিকিৎসায় অনেক অক্সিজেন লাগে। একজন নরমাল রোগীর পাঁচ লিটার অক্সিজেন লাগলে আইসিইউতে লাগে ৫০ লিটার।

দিনে ৫০ হাজার খরচ বিশ্বাসযোগ্য কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট হিসেব করে যা বলেছে, তাই আমরা জানিয়েছি। তারা বলেছে দৈনিক এসব খরচ সরকারকে দিতে হয়। এটা নিয়ে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আলোচনা হয়েছে। সবাই বলেছে স্বাস্থ্যে বরাদ্দ আরও বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।

টিআই/জেডএস