রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) চত্বরে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার স্টল ঘুরে দেখছিলেন কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এসময় একটি স্টলে আমের দাম জানতে চাইলে বলা হয়, প্রতি কেজির দাম ১০০ টাকা। প্রতিউত্তরে উপদেষ্টা বলেন, দাম আরও কমান। এত দাম দিয়ে মানুষ আম কিনবে নাকি?

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এবার সরকারি পর্যায়ে ২৬টি ও বেসরকারি পর্যায়ে ৪৯টিসহ মোট ৭৫টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবারই আমের দামে একটা সমস্যা হয়। ভোক্তারা কিনতে গেলে বলে এবার তো আম বেশি উৎপাদিত হয়েছে, তাহলে দাম বেশি কেন? আবার বিক্রেতারা বলে যে আম কম উৎপাদিত হওয়ায় দাম বেশি পড়ছে। ঢাকায় যে আমটা ১০০ টাকায় বিক্রি হয়, রাজশাহীতে সেটার দাম ৩০ টাকা। ট্রান্সপোর্ট খরচ হিসাব করলেও এত দাম পড়ার কথা না। সুতরাং সংশ্লিষ্টদের বলব, আমের একটা প্রাইসিং করে দেবেন।

তিনি বলেন, এবার আমরা সবাইকে ফল গাছ লাগাতে উৎসাহিত করছি। তবে এ উৎসাহ শহরভিত্তিক না, গ্রামগঞ্জেও যেন ছড়িয়ে পড়ে, সেদিকে সবার নজর রাখতে হবে।

রাজধানীসহ সারা দেশের ৬৪টি জেলার ৪৩১টি উপজেলায় এ ফল মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতীয় ফল মেলার এবারের প্রতিপাদ্য ‘দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই’।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ফল মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে ও রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনতে পারবেন।

ওএফএ/এসএসএইচ