ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয় স্থাপনের অনুমতি বাতিলের দাবি
জাতিসংঘকে সমকামিতাকে প্রমোটকারি উল্লেখ করে ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয় স্থাপনের অনুমতি বাতিলের দাবি জানিয়েছে ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট।
রোববার (২০ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহ্বায়ক শাহসূফী ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আবদুল হান্নান আল হাদী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ হলো ফ্যাসিবাদের বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এর বাইরে কোনো ধরনের চুক্তি তাদের কাজ নয়। কিন্তু সরকার সংস্কার ও বিচারের কাজের কাজ কোনো কিছুই না করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের অনুমতি দিয়ে দেশে সমকামিতাকে প্রমোট করছে।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও মুসলিমপ্রধান দেশ। এ দেশের সংবিধান, সমাজ, সংস্কৃতি ও আইন ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক শালীনতার ভিত্তিতে গঠিত। ইসলাম ও মুসলিম জনমানস সমকামিতাকে একটি জঘন্য অপরাধ ও অগ্রহণযোগ্য বিকৃতি মানসিকতা হিসেবে গণ্য করে। জাতিসংঘের মতো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা কীভাবে এই বাস্তবতা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মতো ধর্মপ্রাণ দেশের জন্য এমন একজন ব্যক্তিকে মনোনীত করতে পারে তা আমাদের বোধগম্য নয়। এই বিকৃত মানসিকতার সম্পন্ন ব্যক্তি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়?
আবদুল হান্নান আল হাদী বলেন, দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ঢাকা থেকে জাতিসংঘ অফিস স্থাপনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা। কেননা বিশ্বের ১৬টি দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস আছে, অথচ ওই দেশগুলোতেই সবচেয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। কাজেই এরা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সেইসঙ্গে নারী কমিশনের মতো কোরআন বিদ্বেষী কমিশনকে বাতিলেরও দাবি জানান তিনি।
জেইউ/এমএ