তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে তামাক কোম্পানির মতামত গ্রহণের জন্য স্টেকহোল্ডার সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টা কমিটি। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তামাকবিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান ‘প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)’। সংস্থাটি বলছে, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-এর আর্টিকেল ৫.৩ এবং এর গাইডলাইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় প্রজ্ঞা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন, বিধিমালা বা নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে তামাক কোম্পানির অংশগ্রহণ বা মতামত গ্রহণ এফসিটিসি-এর নীতিমালার পরিপন্থি। বাংলাদেশ ২০০৩ সালে এই আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এবং ২০০৮ সালে এর গাইডলাইন অনুস্বাক্ষর করে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এফসিটিসি’র অনুচ্ছেদ ৫.৩ অনুযায়ী গাইডলাইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে।

আরও জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২০২১ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও কার্যকর করতে সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। এরপর খসড়া প্রকাশ, মতামত গ্রহণ ও আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর এটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হয়। পরে খসড়া পরিমার্জনের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়, যার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গত ১৩ জুলাই।

এ বিষয়ে প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, তামাক কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা ও মতামত গ্রহণ আন্তর্জাতিক চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। উপদেষ্টা কমিটির এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী পাস করতে হবে।

এমএইচএন/এআইএস