প্রতিবছর ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর হাটে রাজধানীবাসীর ভিড় থাকে উপচে পড়া। তবে করোনা প্রাদুর্ভাবের পর হাট কেন্দ্রিক আমেজে অনেকটা ভাটা পড়েছে। এ অবস্থায়ও আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ১৩টি অস্থায়ী হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এছাড়া দক্ষিণ সিটির স্থায়ী পশুর হাট হিসেবে সারুলিয়া হাটেও পাওয়া যাবে কোরবানির পশু।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন স্বাক্ষরিত ইজারা বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, ঈদুল আজহায় ঈদের দিনসহ মোট পাঁচ দিন এসব স্থানে হাট বসতে পারবে।

অস্থায়ী হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে : উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গায় বসতে যাওয়া হাটের ইজারা পত্রে সরকারি মূল্য ধরা হয়েছে ৯০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এর সঙ্গে সিডিউল মূল্য রয়েছে ১৮ হাজার ৮০০ এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৫০ টাকা। একইভাবে ইনস্টিটিউট অফ লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকার হাটের সরকারি মূল্য এক কোটি ৪৩ লাখ ৬৮ হাজার ৮৮৯ টাকা, পাশাপাশি সিডিউল মূল্য ২৯ হাজার ৪০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ৭ লাখ ১৮ হাজার ৪৪৫ টাকা। পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য ৭৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, পাশাপাশি সিডিউল মূল্য ১৫ হাজার ৬০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬৫০ টাকা।

এছাড়া মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য এক কোটি ৪৮ লাখ ৪৫  হাজার ৩০০ টাকা, পাশাপাশি সিডিউল মূল্য ৩০ হাজার ৪০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ৭ লাখ ৪২ হাজার ৬৫০ টাকা। লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা ও কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য দুই কোটি ৬৭ লাখ ১২ হাজার টাকা, পাশাপাশি সিডিউল মূল্য ৫৪ হাজার ২০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ৬৫০ টাকা। দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য দুই কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, পাশাপাশি সিডিউল মূল্য ৪৭ হাজার ৪০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ১১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।

অন্যদিকে ধুপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, পাশাপাশি সিডিউল মূল্য ২০ হাজার ৪০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ৪ লাখ ৯২ হাজার ৯০০ টাকা। ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকায় হাটের সরকারি মূল্য এক কোটি ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার ৩০০ টাকা, পাশাপাশি সিডিউল মূল্য ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ৮ লাখ ২১ হাজার ৭৬৫ টাকা। আফতাব নগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ, সেকশন ১ ও ২ এর খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য এক কোটি ১৬ লাখ ৯১  হাজার ৮০০ টাকা, পাশাপাশি সিডিউল মূল্য ২৪ হাজার টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯০ টাকা। আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা, পাশাপাশি সিডিউল মূল্য ৫ হাজার টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি এক লাখ ৭ হাজার ৩২৬ টাকা।

বাকি হাটগুলোর মধ্যে রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য ২৬ লাখ ৬০ হাজার ৬০০ টাকা, পাশাপাশি সিডিউল মূল্য ৬ হাজার টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি এক লাখ ৩৩ হাজার ৩০ টাকা। শ্যামপুর কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য এক কোটি ৪০ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, পাশাপাশি সিডিউল মূল্য ২৮ হাজার ৮০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ৭ লাখ ৪ হাজার ৯০০ টাকা। গোলাপবাগের ডিএসসিসি মার্কেটের পেছনের খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য ৬৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৬০ টাকা, পাশাপাশি সিডিউল মূল্য ১৩ হাজার ৮০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ টাকা।

হাট বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, স্থায়ী একটি হাটের পাশাপাশি আরও ১৩টি হাটের স্থান আমরা নির্ধারণ করেছি। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের কমিটি যদি মনে করে হাটে সংখ্যা কমানো প্রয়োজন, তাহলে নির্ধারিত হাটগুলো কমেও যেতে পারে। করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে হাটের সংখ্যা চূড়ান্ত করা হবে।

এএসএস/এসএসএইচ