পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার স্থায়ী-অস্থায়ী ১২টি পশুর হাট বসাতে চায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এর মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় তিনটি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। আর ৯টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমতি চেয়ে চসিকের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছে চট্টগ্রাম নগরীতে ৯টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে যেগুলোর অনুমতি দেওয়া হবে সেসব স্থানে পশুর হাট বসানো হবে।

তিনি আরও বলেন, ১২ জুলাই থেকে ২১ জুলাই ১০ দিনের জন্য এসব অস্থায়ী হাট বসাতে চায় চসিক। করোনা বিবেচনায় নিয়ে এবার হাটের সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তা করছে সিটি করপোরেশন। যাতে মানুষ হাটে এসে স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারে।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ মে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি চেয়ে চিঠি দেন। 

চট্টগ্রাম নগরীর তিনটি স্থায়ী পশুর হাট হচ্ছে- বিবিরহাট, সাগরিকা গরুবাজার ও পোস্তারপাড় ছাগলের হাট। এছাড়া কর্ণফুলী গরুবাজার (নুরনগর হাউজিং সোসাইটি), সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন মাঠ, স্টিলমিল বাজার, পতেঙ্গা সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (কাঠগড়), ৪১ নং ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টি কে গ্রুপের খালি মাঠ, আমানবাজার ওয়াসা মাঠ, মাদারবাড়ি রেলক্রসিং সংলগ্ন বালুর মাঠসহ মোট ৯টি স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসাতে চায় চসিক।

চসিকের রাজস্ব বিভাগ সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি হাট ব্যবস্থাপনায় জোর দেওয়া হবে। তাই গতবারের তুলনায় বেশি হাট বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কারণ হাট বেশি হলে মানুষ তার কাছের হাট থেকে কোরবানির পশু কেনার সুযোগ পাবে। গতবছর চারটি অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছিল। 

কেএম/ওএফ