পরীমণি

দেশের এখন অন্যতম আলোচিত বিষয় নায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা। ঢাকা বোট ক্লাবে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলাও করেছেন নায়িকা, যেখানে আসামি করা হয়েছে আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন, পরীর নিজের বন্ধু অমি ও অজ্ঞাতনামা চারজনকে। 

আজ (সোমবার) সাভার থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার এজহারে পরীমণি লিখেছেন সেদিন রাতে কী ঘটেছিল তার সাথে। 

পরিমণি লিখেছেন, ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরীমণি, তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি, বন্ধু অমি ও বোন বনি দুটি গাড়িতে উত্তরার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। পথে অমি জানান ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে। ১২টা ২০ মিনিটের দিকে বোট ক্লাবের সামনে গাড়ি দাঁড় করানো হয়।  কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তারপর ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেন।  

পরীমণি মামলার এজাহারে আরও লিখেছেন, অমি অনুরোধ করে এখানের পরিবেশ অনেক সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পারো। আমরা বোট ক্লাবে প্রবেশ করে বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করি। টয়লেট থেকে বের হতেই অভিযুক্ত আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন।

এজাহারে আরও লেখা হয়েছে, আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ আসামি নাসির মদ্যপান করার জন্য জোর করেন। আমি মদ্যপান করতে না চাইলে নাসির জোর করে আমার মুখের মধ্যে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাতপ্রাপ্ত হই। নাসির এ সময় আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে ও আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। নাসির উত্তেজিত হয়ে টেবিলে রক্ষিত গ্লাস ও মদের বোতল আমার গায়ে ছুড়ে মারেন। তখন আমার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি নাসিরকে বাধা দিলে তাকেও মারধর করা হয়। 
 
এ অবস্থায় ৯৯৯-এ কল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন উল্লেখ করে পরীমণি আরও লেখেন- ৯৯৯ এ কল দিতে গেলে আমার ব্যবহৃত ফোনটি টান মেরে ফেলে দেওয়া হয়। ফোনটি উঠিয়ে কল দিতে চাইলে আবারও ফোনটি টেনে ফেলে দেওয়া হয়। অমিসহ অজ্ঞাতনামা চার আসামি নাসিরকে সহায়তা করে। আমি অজ্ঞাতনামা আসামিদের দেখলে সনাক্ত করতে পারবো।

পরীমণির অভিযোগ, অমি পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে বোট ক্লাবে নিয়ে যায়, এবং সেসহ অজ্ঞাতনামা চার আসামির সহায়তায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। তিনি লিখেছেন, তবে অপর সঙ্গীদের সহায়তায় ধর্ষকের হাত থেকে রক্ষা পাই। রাত ৩টার দিকে আমি আমার গাড়িযোগে প্রায় অচেতন অবস্থায় আমার সঙ্গীদের সাথে ফিরে আসি।

আসামিরা বিভিন্ন মাধ্যমে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন অভিযোগ করে পরীমণি আরও লেখেন, এ বিষয়ে আমি আমার পরিবার, শিল্পী সমিতি ও অন্যান্যদের সাথে আলোচনা করে এজাহার দায়ের করছি।

জেইউ/এনএফ