সৌদিতে অপরাধ করলেও বিচারের বিধান রেখে হজ ব্যবস্থাপনা বিল পাস
হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার জাতীয় একটি কমিটি গঠন করবে। হজ ও ওমরাহ এজেন্সিকে শর্ত মেনে নিবন্ধন নিতে হবে। আর কোনো হজ ও ওমরা এজেন্সি সৌদি আরব গিয়ে অপরাধ করলেও বাংলাদেশে সেই অপরাধের বিচার করা যাবে- এমন বিধান রেখে ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিল-২০২১’ সংসদে পাস হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
বিদ্যমান হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা নীতিমালাকে আইনে প্রণীত করতেই স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এ বিলটি আনা হলো। এর আগে গত ৪ এপ্রিল বিলটি সংসদে তোলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কোনো সংবিধিবদ্ধ আইন নেই। নির্বাহী আদেশ, নীতিমালা, পরিপত্র ইত্যাদি দ্বারা এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ বিষয়ে সংবিধিবদ্ধ আইন ও বিধি-বিধানের প্রয়োজন দীর্ঘদিন ধরে অনুভূত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
বিলে বলা হয়েছে, হজের চুক্তি এখানে হওয়ার পরে কেউ সৌদিতে গিয়ে ঠকালে তবে ওই অপরাধ বাংলাদেশে হয়েছে বলে গণ্য করে এই আইন অনুযায়ী বিচার করা হবে। নিবন্ধন পেতে হলে হজ এজেন্সিকে তিন বছর এবং ওমরাহ এজেন্সিকে দুই বছরের ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বিলে বলা হয়েছে, হজ এজেন্সিগুলো অনিয়ম করলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। আর ওমরা এজেন্সি অনিয়ম করলে তারা নিবন্ধন হারানোর সঙ্গে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়বে। এছাড়া জামানত বাজেয়াপ্ত, নিবন্ধন স্থগিত, সতর্কীকরণ ও তিরস্কারের শাস্তি রয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো এজেন্সি পরপর দুইবার তিরস্কৃত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার নিবন্ধন দুই বছরের জন্য স্থগিত হয়ে যাবে। কোনো এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল হলে ওই এজেন্সির অংশীদার বা স্বত্বাধিকারীরা পরে কখনও হজ বা ওমরা এজেন্সির নিবন্ধন পাবে না। অন্যকোনো এজেন্সির কাজেও সম্পৃক্ত হতে পারবে না।
এতে বলা হয়েছে হজ এজেন্সিগুলো স্বত্ব পরিবর্তন করতে চাইলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলোর দায়-দায়িত্ব আইনি বিধি-বিধান দ্বারা সুস্পষ্ট করা হলে তা হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও দক্ষ ও গতিশীল করতে সহায়ক হবে।
এইউএ/জেডএস/জেএস