রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলের দাবি
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলের দাবি পরিষদের সমাবেশ
দেশে সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা ফিরিয়ে আনতে ৪ দফা দাবি জানিয়েছে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলের দাবি পরিষদ। বুধবার (১৬ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে দাবিগুলো জানানো হয়।
পরিষদের দাবিগুলো হচ্ছে- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ আইনে সংযোজিত ৯০বি ধারাসহ সব কালো আইন বাতিল করে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় অফিস ও গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিধান চালু করা; স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এক শতাংশ ভোটারের আগাম স্বাক্ষরের বিধান বাতিল করা; নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্ব বন্ধ করা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহার বন্ধ করা।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আপনারা জানেন যে ১/১১ এর সেনা সমর্থিত অনির্বাচিত ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিনের সরকার রাজনীতি করার লক্ষে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নামে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ আইনে ৯০বি ধারা যুক্ত করে। পরে নির্বাচিত আওয়ামী সরকার আইনটি আরও কঠোর করে ১০টি জেলা কমিটি ও অফিসের পরিবর্তে ২১টি জেলা কমিটি ও অফিস, ৫০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন থানা কমিটি ও অফিসের পরিবর্তে ১০০টি উপজেলা মেট্রোপলিটন থানা কমিটি অফিসের শর্ত দেয়।
আবার এসব উপজেলা বা মেট্রোপলিটন থানা কমিটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটার সদস্য অর্থাৎ সারাদেশে কমপক্ষে ২০ হাজার ভোটার সদস্যের বাধ্যবাধকতা সৃষ্ট করে। যা পরিচালনায় মাসিক ব্যয় দাঁড়ায় কমপক্ষে ২৫ লাখ টাকা।
বিজ্ঞাপন
নতুন দলগুলোর পক্ষে এসব শর্ত পূরণ করে দলের নিবন্ধন নেওয়া প্রায় অসম্ভব। অন্যদিকে সরকারের তাবেদার ও অথর্ব নির্বাচন কমিশন আইনটিকে আরও কঠোর করতে প্রতিনিয়ত অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কেন আইন বাতিল করা জরুরি, বিষয়টি উল্লেখ করে বক্তারা জানান, এ আইনটি নতুন দলের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক। এটি বহাল থাকলে কোনো সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তির পক্ষে রাজনৈতিক দল গঠন, দলের নিবন্ধন প্রাপ্তি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রায় অসম্ভব। এই আইন অগণতান্ত্রিক ও সংবিধান পরিপন্থি এবং মানবাধিকার বিকাশে অন্তরায়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলের দাবি পরিষদের আহ্বায়ক সৈয়দ হারুন-অর-রশীদ, সদস্য সচিব আবদুল মোনেম প্রমুখ।
এমএইচএন/এমএইচএস