চট্টগ্রামের শাহ আমানতে ফিরছে দুই বিদেশি এয়ারলাইন্স
ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গন্তব্যে ফের ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে দুই আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স। ফ্লাই দুবাই ও সালাম এয়ার শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট অপারেট করবে। যাত্রীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে।
বিমানবন্দরটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী ইব্রাহীম খলিল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে সালাম এয়ারের চট্টগ্রাম-মাস্কাট ফ্লাইট চালু হচ্ছে। আগামী ২৬ অক্টোবর ফ্লাই দুবাই পুনরায় ফ্লাইট অপারেশন চালু করতে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এয়ারলাইন্স কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে শাহ আমানত বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় এখান থেকে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো একের পর এক কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে আমিরাতভিত্তিক ফ্লাই দুবাই শাহ আমানত বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে।
এর আগে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন সময় গুটিয়ে নেয় থাই এয়ার, থাই স্মাইল এয়ার, ওমান এয়ার, ভারতভিত্তিক স্পাইস জেট, কুয়েতভিত্তিক জাজিরা এয়ারওয়েজ ফ্লাইট, মালিন্দো এয়ার, রোটানা এয়ার, হিমালয়ান এয়ার, রাস আল কাইমা (আরএকে) এয়ার, টাইগার এয়ারওয়েজ।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
বিমানবন্দরের তথ্য মতে, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ২০০০ সালে বিদেশি ফ্লাইট সরাসরি চালু হয়। বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে এবার রেকর্ড রাজস্ব আয় হয়েছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বিমানবন্দরটির আয় দাঁড়িয়েছে ২৭০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৩ কোটি টাকা বেশি।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৭০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ২৩৭ কোটি টাকা, ব্যয় ছিল ৩৬ কোটি টাকা। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ২২৫ কোটি টাকা, ব্যয় ৩৩ কোটি টাকা। আর ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আয় ছিল ৭৯ কোটি টাকা, ব্যয় ২৭ কোটি টাকা। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে আয় হয়েছিল মাত্র ৩০ কোটি টাকা, ব্যয় ছিল ২৬ কোটি টাকা।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী যাতায়াত করেছেন ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৫৬ জন। ২০২৪ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৮২ হাজার ৫৪০ জন, ২০২৩ সালে ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬৭৪ জন, ২০২২ সালে ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪ জন ও ২০২১ সালে মাত্র ৩ লাখ ২২৬ জন।
অভ্যন্তরীণ রুটে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে গেছেন ৬ হাজার ৬৯০ জন যাত্রী। ২০২৪ সালে এ সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৫০১ জন, ২০২৩ সালে ১২ হাজার ২৭৬ জন, ২০২২ সালে ১১ হাজার ৫৪২ জন ও ২০২১ সালে ৪ হাজার ৯৮০ জন।
এমআর/এসএসএইচ