দেশের প্রযুক্তি প্রফেশনালদের চাহিদা বিশ্বে আকাশচুম্বী

বিশ্বে দেশের ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রফেশনালদের চাহিদা আকাশচুম্বী বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

শুক্রবার (১৮ জুন) ঢাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইসিটি প্রফেশনালদের প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি আয়োজিত সাইবার সিকিউরিটি, ডাটা সেন্টার ম্যানেজমেন্ট, ইথিকাল হ্যাকিং ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ওপর এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল যুগ মানে মেধা ও সৃজনশীলতার যুগ। আমাদের সন্তানরা অত্যন্ত মেধাবী ও সৃজনশীল। আমাদের নতুন প্রজন্ম যেখানে সুযোগ পেয়েছে সেখানেই দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছে।

তিনি জানান, বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ আজ সফটওয়্যার রফতানি করছে। বিদেশে আমাদের ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রফেশনালদের চাহিদা আকাশচুম্বী। ডিজিটাল বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক কে. এম. আফতাব উল ইসলাম, ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল আবদুর রহমান খান জিহাদ বক্তব্য রাখেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানান, সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় চার নীতির ওপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধু ভাষাভিত্তিক জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সে পথেই হাঁটছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা। ডিজিটাল বাংলাদেশ শব্দটি পৃথিবীতে বাংলাদেশেই প্রথম উচ্চারিত হয়। পরবর্তীতে ব্রিটেন, ভারত, মালদ্বীপ ও পাকিস্তান তাদের ডিজিটাল কর্মসূচি ঘোষণা করে।

উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে আশপাশের দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে আছে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ বেয়ে গত ১২ বছরে বাংলাদেশ বিস্ময়কর অগ্রগতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ উন্নয়নে বিশ্বের রোল মডেল। বাংলাদেশে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত।

তিনি জানান, ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর কম্পিউটারসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেন। এর ফলে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে এক নতুন যুগের ভিত্তি স্থাপিত হয়। কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহারের মাধ্যমে তিনি কম্পিউটার প্রযুক্তি সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেন।

বক্তারা কম্পিউটার সোসাইটির প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে একটি সময়োপযোগী কর্মসূচি হিসেবে উল্লেখ করে ভবিষ্যতে এমন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

একে/ওএফ