শহিদুল আলমসহ নৌবহর থেকে আটক ব্যক্তিদের কারাগারে নিয়েছে ইসরায়েল
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ গাজা অভিমুখী নৌবহর ফ্রিডম ফ্লোটিলা থেকে আটক অধিকারকর্মীদের একটি অংশকে ইসরায়েল কেৎজিয়েত কারাগারে স্থানান্তর করেছে।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন এবং ইসরায়েলের আরব সংখ্যালঘুদের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা আদালাহ’র বরাত দিয়ে দৃক এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দৃক এক বিবৃতিতে বলেছে, “ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন ও আদালাহ’র মাধ্যমে আমরা জেনেছি, শহিদুল আলমসহ সাংবাদিক, স্বাস্থ্যসেবাকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও নাবিকদের সবাইকে কেৎজিয়েত কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফ্লোটিলার সদস্যরা জানিয়েছেন, জাহাজ দখলের পর থেকে তারা ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত কেৎজিয়েত ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় আটককেন্দ্র। সেখানে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
শহিদুল আলম দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন নৌযাত্রা শুরু করেছিল গাজা অভিমুখে। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট ৯টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গতকাল বুধবার ওই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যান ইসরায়েলি সেনারা।
‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা’ আজ বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, ইসরায়েল বেআইনিভাবে ফ্লোটিলা থেকে ১৪৫ জনকে আটক করেছে। তাদের অনেককে কেৎজিয়েতে মারধর ও অপদস্থ করা হয়েছে। আদালাহ’র আইনজীবীরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পোস্টে আরও বলা হয়, আজই আটক ব্যক্তিদের মুক্তি বিষয়ে আদালতে শুনানি হতে পারে। তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের পূর্ণ আইনি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে।
গত বুধবার ইসরায়েলি বাহিনী নৌবহরটিতে আক্রমণ করে এবং সেখানে থাকা অধিকারকর্মী ও নাবিকদের আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাদের আশদোদ বন্দরে নিয়ে গিয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষে কেৎজিয়েত কারাগারে পাঠানো হয়।
এআইএস