ব্লু কার্বন পরিমাপের অত্যাধুনিক কাঠামো চূড়ান্ত
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ম্যানগ্রোভ ও টাইডাল সল্টমার্শ বাস্তুতন্ত্রে সংরক্ষিত ব্লু কার্বনের পরিমাণ নিরূপণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সেগুলোর প্রতিক্রিয়া মূল্যায়নের জন্য একটি অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিগত কাঠামো চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি দেশের কার্বন ট্রেডিংয়ের ভিত্তি স্থাপন এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু আলোচনায় বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) সিঙ্গেলপ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের আয়োজনে 'বাংলাদেশ উপকূলের ম্যানগ্রোভ ও টাইডাল সল্টমার্শ বাস্তুতন্ত্রের ব্লু কার্বন স্টক মূল্যায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে তাদের প্রতিক্রিয়া নিরূপণ'— শীর্ষক প্রকল্পের এক কর্মশালায় এই কাঠামো চূড়ান্ত করা হয়। প্রকল্পটি বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক কমডোর মো. মিনারুল হক। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের ফলাফল হবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিত করার জন্য একটি ব্যবহারিক হাতিয়ার এবং প্রয়োজনীয় জ্ঞান। এই গবেষণা থেকে জাতিকে শক্তিশালী কার্বন ট্রেডিংয়ের মূল্যবান তথ্য-উপাত্ত প্রদান করাই হবে আমাদের লক্ষ্য।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি উপকূলীয় বাস্তুতন্ত্রকে প্রকৃতির অফুরন্ত ভান্ডার হিসেবে বর্ণনা করে গবেষণায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং আন্তঃবিষয়ক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) গাজী মো. ওয়ালী-উল-হক প্রকল্পটিকে সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দেন এবং এটি ব্লু ইকোনমি খাতের একটি অনুন্মোচিত দ্বার খুলে দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র বাংলাদেশের ম্যানগ্রোভ বন প্রায় ২০ লক্ষ টন কার্বন সংরক্ষণ করে। প্রকল্পটি থেকে প্রাপ্ত নির্ভুল তথ্য বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক জলবায়ু আলোচনার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে এবং জলবায়ু অর্থায়নে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
কর্মশালায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান এবং অক্সফামের ক্লাইমেট বিভাগের প্রধান মো. ইমরান হাসান ব্লু কার্বন ইকোসিস্টেমের স্থানীয় প্রাসঙ্গিকতা ও জলবায়ু ন্যায়বিচারের গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এসআর/এমজে