চীন থেকে টিকা আনতে সিনোফার্মের সঙ্গে আগামী মাসে চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। চুক্তি হয়ে গেলে জুলাই থেকেই টিকা পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

রোববার (২০ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র সচিব।

তিনি বলেন, ‘সিনোফার্মার সঙ্গে আলোচনা আগেই শুরু হয়েছে। আশা করছি জুলাই মাসে চুক্তি স্বাক্ষর হবে, তখন আমরা টিকা পাব।’

গত ১৩ জুন বাংলাদেশকে দেওয়া চীনের দ্বিতীয় দফা উপহারের ছয় লাখ টিকা দেশে আসে। সিনোফার্মের এসব টিকার প্রথম ডোজ শনিবার (১৯ জুন) থেকে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এর আগে চীন গত ১২ মে সিনোফার্মের তৈরি পাঁচ লাখ টিকা বাংলাদেশে পাঠায়।

রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকার দেশে আনা প্রসঙ্গে মাসুদ বিন মোমেন জানান, দেশটির সঙ্গে দুই দফা আলোচনা হয়েছে। টিকা আনার বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ইগনাতভ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে এসে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, দেশটির বাংলাদেশের কাছে করোনাভাইরাসের টিকা বিক্রির চুক্তিটি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, রাশিয়া থেকে এক কোটি টিকা কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। ঢাকা আগামী মাসের মধ্যে মস্কো থেকে অন্তত প্রথম চালানের টিকা পাওয়ার আশা করছে।  

ভারত থেকে টিকা আনার বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব জানান, চলতি বছরের অক্টোবরের পর ভারত থেকে টিকা পাওআর আশা করছে বাংলাদেশ। মূলত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট টিকা রফতানি বন্ধ করার কারণে বিকল্প উৎস থেকে টিকার আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ঢাকা। তারই ধারাবাহিকতায় রাশিয়া ও চীন থেকে টিকা আনার বিষয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।

এনআই/জেডএস