হাঁটা-সাইকেলবান্ধব নগর যাতায়াতে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান
ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হাঁটা ও সাইকেল বান্ধব নগর যাতায়াতে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আলোচকরা। তারা বলছেন, ন্যায্য নগর কেবল অবকাঠামোগত বিষয় নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতার প্রতিফলন। একটি ন্যায্য নগরে প্রতিটি মানুষ নিরাপদে হাঁটতে বা সাইকেল চালাতে পারে এবং গণপরিসরগুলো ব্যবহার করতে পারে কোনো বৈষম্য ছাড়াই।
হাঁটা ও সাইকেলে যাতায়াত শুধু পরিবেশবান্ধব নয়– এটি স্বাস্থ্যকর, সাশ্রয়ী এবং সামাজিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সমন্বয় এবং জনসাধারণের মতামতের প্রতিফলনের ভিত্তিতেই গড়ে উঠতে পারে একটি ন্যায্য নগর।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট কর্তৃক আয়োজিত ‘ন্যায্য নগর : হাঁটা ও সাইকেল বান্ধব পরিবেশের ভূমিকা’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ইয়াং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশনের (ইপসা) নির্বাহী পরিচালক নাছিমা বানু বলেন, চট্টগ্রাম শহরটি ১৬০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত, যেখানে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ বসবাস করে। শহরের মোট ১৫০০ কিলোমিটারের মতো সড়ক রয়েছে, কিন্তু ফুটপাত রয়েছে ২৮১ কিলোমিটার। ভাঙাচোরা, পরিচ্ছন্নতার অভাব, অবৈধ স্থাপনা ইত্যাদির কারণে ফুটপাতে হাঁটার পরিবেশ নেই। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সিটি কর্পোরেশন, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই।
বিজ্ঞাপন
সোশ্যাল অ্যান্ড ইনভাইরনমেন্টাল ইনক্রিজিং অ্যানালাইসিস মুভমেন্ট (সিয়াম) খুলনার নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট মো. মাছুম বিল্লাহ বলেন, আমরা খুলনাকে স্বাস্থ্যকর নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সচেষ্ট হয়েছি। সম্প্রতি হেলদি সিটিস ফোরামের আওতায় খুলনার জলাধারসমূহ রক্ষা এবং পৃথক সাইকেল লেন তৈরির জন্য স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সিটি কর্পোরেশন থেকে ইতোমধ্যে আমরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে একটি সড়কে সাইকেল লেন তৈরি করা হবে মডেল হিসেবে পরবর্তীতে অন্যান্য সড়কে তা বিস্তৃত হবে।
লেডিস অর্গানাইজেশন ফর স্যোশাল ওয়েলফেয়ার (লফস) রাজশাহীর নির্বাহী পরিচালক শাহনাজ পারভীন বলেন, রাজশাহী বর্তমানে পরিবেশগত দিক থেকে অনেক সুন্দর, কিন্তু হাঁটা ও সাইকেলে যাতায়াতের নিরাপদ পরিবেশ বর্তমানে রাজশাহী শহরে নেই। ফলে শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি কিংবা যেকোন সামর্থ্যরে পথচারীরা সহজে হাঁটতে বা চলাচল করতে পারছে না।
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্পের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি নাগরিকরা যেন তাদের প্রয়োজনীয়তাগুলো সমন্বিতভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরার সুযোগটি পায়। এ ধরনের ব্যবস্থা যদি প্রতিটি নগরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় থাকে তাহলে ন্যায্য নগর নিশ্চিত হবে।
এএসএস/বিআরইউ