চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকায় মোটরসাইকেল কিনতে গিয়ে সেটি নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়া মোস্তাফিজুর রহমানকে (২৪) ঘটনার এক মাস পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই মোটরসাইকেল ক্রয়ের সময় প্রাইভেটকার ভাড়া করে নিয়ে গিয়েছিলেন, যাতে বিক্রেতা তাকে বিশ্বাস করেন।

মঙ্গলবার (২২ জুন) চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন সংলগ্ন এলাকার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার আমিলাইশ গ্রামের হাজী আব্দুর রশিদের ছেলে।

চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনার এক মাস পর আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়েছে।  

ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার এক বাসিন্দা তিন মাসে আগে একটি মোটরসাইকেল ক্রয় করেন। ২১ মে সেই মোটরসাইকেল বিক্রির জন্য ফেসবুকের মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয়ের একটি গ্রুপে বিজ্ঞাপন দেন। সেই সঙ্গে তিনি তার মোবাইল নম্বরও দেন। বিজ্ঞাপন দেখেই মোটরসাইকেলটি হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন মোস্তাফিজ। 

এরপর ২৩ মে মোস্তাফিজ ফোন করে মোটরসাইকেলটি ক্রয়ের জন্য এর মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে একইদিন সন্ধ্যার দিকে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর বন্দরটিলা এলাকায় আসেন। পরে তিনি মোটরসাইকেলটি দেখেন। এরপর বিক্রেতার সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। পরে মোস্তাফিজ মোটরসাইকেল ট্রায়াল দিয়ে দেখার জন্য বলেন। তখন মোস্তাফিজকে মোটরসাইকেলটি ট্রায়ালের জন্য দেন বিক্রেতা। এরপর মোস্তাফিজ  ট্রায়াল দিয়ে দেখার নাম করে মোটরসাইকেল নিয়ে আর ফিরে আসেননি। 

ওসি আরও বলেন, একপর্যায়ে মোটরসাইকেল মালিক প্রাইভেটকারসহ চালককে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পুলিশ চালকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, মোস্তাফিজ তাকে ভাড়া করে এনেছে। দোষ না পাওয়ায় প্রাইভেটকার চালককে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরে মোটরসাইকেল মালিক ইপিজেড থানায় মামলা করেন।  

তিনি বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তার মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার অক্সিজেন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে মোটরসাইকেলটি তার বাসা থেকে জব্দ করা হয়েছে। মোস্তাফিজকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।

কেএম/ওএফ