প্রশিক্ষণ, সচেতনতা বৃদ্ধি, সম্মিলিত উদ্যোগ ও সঠিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

মঙ্গলবার (২২ জুন) সচিবালয় থেকে গণস্বাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত ‘পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ’ শীর্ষক জাতীয় মতবিনিময়ে (ওয়েবিনারে) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।

ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বিশ্বে শিশুমৃত্যুর একটি অন্যতম প্রধান কারণ পানিতে ডুবে মৃত্যু। উন্নত দেশগুলো এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনতে পারলেও উন্নয়নশীল দেশেগুলোতে উচ্চ হারে পানিতে ডুবে শিশুদের মৃত্যু হচ্ছে। বাংলাদেশেও প্রতিবছর অনেক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। যা শিশুর সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড় বাধা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধবিষয়ক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। গৃহীত প্রস্তাবে পানিতে ডুবে মৃত্যুকে একটি নীরব মহামারি হিসেব স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরের ২৫ জুলাই বিশ্বব্যাপী পানিতে ডুবে মৃত্যুরোধ দিবস পালিত হবে। জাতিসংঘের এ প্রস্তাব পাসের পর এই শিশু মৃত্যু রোধে, বাংলাদেশের দায়িত্বও অনেক বেড়ে গেছে।

ইন্দিরা বলেন, জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ ঘোষণার ঘোষণার ১৫ বছর আগে জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করেন, শিশুদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুর উন্নয়ন, সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, এখানে উপস্থাপন করা হলো, দেশে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। যদি এই তথ্য সঠিক হয়ে থাকে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। আমি মনে করি, সকলের প্রচেষ্টা ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধ করা সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা আতঙ্কজনক। তবে এ সমস্যা নিয়ে তেমন আলোচনা হয় না। স্থানীয় কমিউনিটি ও বেসরকারি সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শিশু মৃত্যু রোধ করতে হবে।

এসএইচআর/এসকেডি