বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটুকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির শাহবাগ থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরের দিকে বিএমইউ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি দলের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই চিকিৎসক অর্থ দিয়ে আসছিলেন। তিনি আজ বিএমইউতে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ঘিরে ধরে। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ মন্সুর বলেন, কর্মস্থলে চিকিৎসকরা তাকে ঘিরে ধরলে আমরা তাকে থানায় নিয়ে আসি। পরে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে বিএমইউতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় গাড়ি পোড়ানো মামলায় তার সংশ্লিষ্টতা পাই। তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আওয়ামীপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সমর্থিত শিক্ষক ও চিকিৎসকসহ নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করে সাবেক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও বর্তমান বিএমইউ প্রশাসন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ৪ আগস্ট আনুমানিক সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করছিলেন। সে সময়ে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের ভেতরে ও এক নম্বর গেটের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিরত স্বাচিপসহ তৎকালীন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের আজ্ঞাবহ শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বৈষম্যবিরোধীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

এতে আরও বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা স্লোগান দিলে প্রশাসনিক ভবনের ভেতর এবং ছাদের উপর থেকে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারী মিলে বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল ও ভারি বস্তু নিক্ষেপ করতে থাকে। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে অনেক আন্দোলনকারী মারাত্মক আহত হয়, যা ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে দেখা যায়। বিবাদীরা ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে আক্রমণ করে প্রাণনাশের চেষ্টা করেন। সে সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাখা হাসপাতাল ও সাধারণ মানুষের গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এমএসি/জেডএস