চট্টগ্রামের রাউজান ও সাতকানিয়া উপজেলা এলাকায় বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলা পুলিশ, র‌্যাব, নৌ-পুলিশ এবং এপিবিএন যৌথভাবে এই অভিযান চালায়।

পুলিশ জানায়, রাউজান থানার নোয়াপাড়া, বাগোয়ান, পূর্ব ও পশ্চিম গুজরা, সুলতানপুর, কদলপুর, রাউজান ইউপি ও পৌরসভা এলাকায় পরিচালিত এই অভিযানে অংশ নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোট ১০টি টিম। একই সময়ে বিভিন্ন স্থানে ১৭টি চেকপোস্ট বসানো হয়।

অভিযানে উদ্ধার করা হয়– ৮টি এলজি, ৬ রাউন্ড কার্তুজ, ১৪টি ছোরা, ৩টি রামদা, ২টি চাপাতি, ২টি তলোয়ার, ১টি কিরিচ ও ১টি ইলেকট্রিক কাটার। এ ছাড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় ২৮টি মোটরসাইকেল ও একটি ট্রাক আটক করা হয়। মোটরযান আইনে ৩৭টি মামলা করা হয় এবং বিভিন্ন অপরাধে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আবার র‌্যাব আলাদা অভিযানে উদ্ধার করে ৩টি এলজি, ২টি তলোয়ার ও ১টি কিরিচ।

এ দিকে সাতকানিয়া থানা পুলিশের অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, শর্টগানের দুটি কার্তুজ, একটি লোহার স্টিক, তিনটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও ছয়টি বাটন মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হন মো. তারেক ও মো. মিনারুল আলম। তারেকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ চারটি মামলা রয়েছে। একই রাতে আরেক অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সদস্য আয়ুবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে তিনটি ডাকাতির মামলা চলছে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল জানান, রাউজানের আলোচিত ব্যবসায়ী হাকিম হত্যা মামলার সূত্র ধরে অস্ত্র উদ্ধারে গতি এসেছে। এই মামলায় এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় উদ্ধার হয়েছে চারটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলভার, একটি চায়না রাইফেল, একটি শর্টগান, দুটি এলজি, মোট ৮৫ রাউন্ড গুলি, সাতটি ম্যাগাজিন, দুটি রামদা, পাঁচটি ছুরি এবং ঘটনার সময় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল।

তিনি আরও বলেন, নভেম্বর মাসে রাউজান থানায় অস্ত্র আইনে ১০টি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন আটজন। উদ্ধার হয়েছে ২৪টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৮৫ রাউন্ড গুলি এবং ৩২টি কার্তুজ। জেলা গোয়েন্দা শাখা ও বিভিন্ন থানার নিয়মিত অভিযানে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত জেলায় উদ্ধার হয়েছে ৫৭৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৬২টি গুলি ও ২০৬ রাউন্ড কার্তুজ। অস্ত্র আইনে ৯৬টি মামলা দায়ের হয়েছে এবং গ্রেপ্তার হয়েছে ১৪০ জন।

এমআর/বিআরইউ