বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন যেনতেন কোনো নির্বাচন নয়। এটি হবে যুগান্তকারী নির্বাচন—জাতির দীর্ঘদিনের কলঙ্ক মোচনের নির্বাচন।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম হাই স্কুলের কৃতি ছাত্র সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা এ স্কুলের ১৯৬৮ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, যিনি প্রার্থী হতে চান, তার প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকতে হবে। যিনি ভোট দিতে চান, তাকে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে দিতে হবে। আর যে ভোট দেবেন, সেই ভোট যেন সঠিকভাবে গণনা হয়—এটাই জাতির প্রত্যাশা। আগামী নির্বাচনে আমরা তা নিশ্চিত করব।

তিনি বলেন, নির্বাচনে যে-ই বিজয়ী হোন না কেন, জনগণ যাকে বেঁছে নেবে, জাতি তার পেছনে দাঁড়াবে। যে দল বা প্রার্থীকে মানুষ সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করবে, আমরা তার প্রতি সম্মান জানাবো। নির্বাচন যেন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও ঐতিহাসিক হয়, সে জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নিয়েছে।

তিনি মনে করিয়ে দেন, আগের নির্বাচনগুলো নিয়ে যে গ্লানি রয়েছে, তা দূর করতে এবার সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি। এ জন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে স্কুলের ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রাক্তন ছাত্র সমিতি এ আয়োজন করে।

কৃতি শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এই সম্মাননা তাদের আরও বড় অর্জনে অনুপ্রাণিত করবে। তিনি উদ্ভাবন ও উৎপাদনমুখী শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন।

স্কুলের হোস্টেল ও অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রধান শিক্ষকের বাসভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, এসব আমার আওতাধীন নয়। তবে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে বিষয়গুলো পৌঁছে দেব। তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দেন, কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য ট্রাস্ট ফান্ড গঠিত হলে প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করে দেবেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র প্রফেসর সিকান্দার হায়াত খান, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম, চিকিৎসক প্রফেসর ডা. ইমরান বিন ইউনূস ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোরশেদুজ্জামানসহ সংবর্ধিত কয়েকজন শিক্ষার্থী।

এমআর/এএমকে