রাজধানীর চকবাজারের রহমতগঞ্জ ডালপট্টি এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণের পর পাশাপাশি দুটি ভবনে আগুনের তথ্য দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সরু ও ঘিঞ্জি রাস্তা হওয়ায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসকে। এর মধ্যে একটি ভবনের নিচতলায় ডালের গোডাউন ও মিল, দ্বিতীয় তলায় কর্মচারীদের আবাসন ও তৃতীয় তলায় লাগেজ ফিটিংসের কারখানা ছিল। আরেকটি ভবনের নিচতলায় ওয়ার্কশপ ও দ্বিতীয় তলায় অফিস ছিল।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) আগুন নিয়ন্ত্রণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে গিয়ে সরু সড়কের কারণে ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি প্রবেশ করতে পারেনি। পুরান ঢাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা আপনারা জানেন। রাস্তায় গাড়ি আনা খুবই কষ্টকর। আমরা বড় একটা পানিবাহী গাড়ি নিয়ে এসেছিলাম, ওই গাড়িটা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। পানিবাহী গাড়ি থেকে কষ্ট করে অনেক দূর থেকে পাইপ টেনে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি।

তিনি বলেন, ভবনের মধ্যে যারা থাকে, আমার মনে হয় না তারাও ভেতরে রাস্তাঘাট চেনে। কেউ বলে জানালা দিয়ে ঢুকেন, কেউ বলে দরজা কেটে ঢুকেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে পার্শ্ববর্তী তিনটি ভবনে উঠে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে।

তিনি আরও বলেন, ভেতরে আমাদের এখনো কাজ চলছে, তারপর আমরা সার্চ করব কোনো লোকজন আটকা আছে কি না।

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, এগুলো ভবনের কোনো শ্রেণির মধ্যেই পড়ে না। কিছু টিন, কিছু পাকা, কিছু সেমি-পাকা। একটা থেকে আরেকটায় যাওয়ার জন্য কাঠ দিয়ে সিঁড়ি, সেই সিঁড়ির মধ্যেও আগুন ছিল।

এমএসি/এমজে