‘আহত জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনে সরকারের নীরব ভূমিকা হতাশাজনক’
জুলাই আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন, তারা আজও যথাযথ চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, বাসস্থান ও নিরাপত্তার অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের পুনর্বাসনে সরকারের নীরব ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক।
আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ও ডিজঅ্যাবিলিটি দিবস উপলক্ষে আজ (বুধবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ অটিজম অ্যান্ড ডিজএবিলিটি ইনস্টিটিউট (বাডি) আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. মো. হেলাল উদ্দিন, মঞ্চ-২৪ এর মুখপাত্র ডিউক হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আজিজ, জুলাই আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, আহত জুলাই যোদ্ধা আব্দুল্লাহ, নুরে আলম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের অবহেলা করে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নতুন সরকারের জন্ম এই জুলাই যুদ্ধের মধ্য দিয়েই হলেও আন্দোলনে আহতদের প্রতি যথাযথ মনোযোগ নেই সরকারের। অনেক আহত ব্যক্তি আজও হাসপাতালে চিকিৎসাহীন অবস্থায় পড়ে আছেন। শুধু অন্তর্বর্তী সরকার নয়, প্রত্যেক সরকারেরই দায়িত্ব থাকবে জুলাই যুদ্ধাহতদের সেবা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা।
বিজ্ঞাপন
বক্তব্যে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, সমাজে প্রতিবন্ধী, অটিজম বা যুদ্ধাহত কেউই অবহেলার পাত্র নয়। মানুষকে মানুষের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই আহত ও জীবন্ত শহীদদের অবমাননা করা মানবিকতার পরিপন্থী। এই জুলাই যুদ্ধ না হলে আমরা আজ স্বাধীনভাবে কথা বলার সাহস পেতাম না।
তিনি আরো বলেন, শাহাদাত বরণকারী ও আহত যোদ্ধাদের তালিকা সরকার এখনো প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রকৃত আহতদের তালিকা করে তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে রাষ্ট্রকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আজিজ বলেন, ২ হাজারের বেশি শহীদ, ৩০ থেকে ৩৫ হাজার পঙ্গুত্ববরণকারী যোদ্ধা সারাজীবনের জন্য ডিজেবল হয়ে গেল। তাদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন। আজও তারা চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের অপেক্ষায় আছে, এটি রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক।
ওএফএ/এনএফ