শ্রম সংস্কার কমিশন চেয়ারম্যান
সরকারের উচিত দ্রুত নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করা
শ্রম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে বর্তমান বেতন কাঠামো দিয়ে নিম্ন গ্রেডের একজন কর্মচারীর পরিবার চালানো কোনো ক্রমেই সম্ভব নয়। সরকারের উচিত যতদ্রুত সম্ভব কর্মচারীদের পরিবারের ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করা এবং এটা জরুরি।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত ডিসেম্বরের মধ্যে ৯ম পে-স্কেলের গেজেট জারি ও মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, প্রতি ৫ বছর অন্তর গণকর্মচারীদের পে-স্কেল দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ১০ বছর কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পুনর্মূল্যায়ন হয়নি।
বক্তব্যে স্কপ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, সরকারি দপ্তরগুলোতে কৌশলে কর্মচারী শূন্য করার একটি দীর্ঘ মেয়াদি পাঁয়তারা চলছে। সরকার আউটসোর্সিং নিয়োগের মাধ্যমে অনেক দপ্তরে স্থায়ী কর্মচারী নেই। সবার আগে সরকারি দপ্তর সংস্থায় আউটসোর্সিং নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। ঢাকঢোল পিটিয়ে পে-কমিশনের ঘোষণা দিয়ে এখন আবার দেবেন না, এটা কোনোভাবেই সঠিক সিদ্ধান্ত না। যতদ্রুত সম্ভব পে-কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ করে জাতীয় নির্বাচনের আগেই ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন
মহাসচিব বেল্লাল হোসেন বলেন, ৫ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশে সারাদেশ থেকে কয়েক লক্ষ কর্মচারী উপস্থিত হবেন। পুরো ঢাকা শহর সরকারি কর্মচারী দ্বারা কানায় কানায় পূর্ণ থাকবে। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশের মাধ্যমে কর্মচারীর ন্যায় সঙ্গত দাবি ৯ম পে-স্কেলের গেজেট নির্বাচনের আগেই জারি করতে বাধ্য করবো।
সভায় এম এ হান্নানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন– সচিবালয় নেতা আব্দুল খালেক, মুখ্য সমন্বয়ক ওয়ারেছ আলী, সমন্বয়ক লুৎফর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের সভাপতি আবু নাসির খান, সমন্বয় পরিষদের কার্যকরী সভাপতি জাকির হোসেন, মমতাজ সিকদার, মানিক মৃধা, সহসভাপতি রফিকুল আলম, শাহজাহান সম্রাট, নিজামুদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
ওএফএ/বিআরইউ