ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

মাদক নিয়ন্ত্রণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কেন আজ পরীমণি তৈরি হচ্ছে? কেন তাকে বা তার মতো নারীরা বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন? সরকার বারগুলো ওপেন করে দিয়েছে। সেখানে বিয়ার খেতে দিন, মদ খেতে দিয়েন না। কারণ, বিয়ারে মাত্র তিন শতাংশ মদ (অ্যালকোহল) থাকে। 

শনিবার (২৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘মাদক প্রতিরোধে জনসচেতনতার অপরিহার্যতা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। বিশ্ব মাদক মুক্ত দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বায়োফার্মা।

দেশে মাদকের ব্যবহার বাড়ার পেছনে সরকারের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকারের পরিকল্পনার অভাব আছে। তারা এবারের বাজেটে সবকিছুর দাম বাড়ালেও সিগারেট-মদের দাম বাড়ায়নি। 

জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মাদক প্রতিরোধে জনসচেতনতার অপরিহার্যতা’ শীর্ষক আলোচনাসভা

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকারকে মাদক নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিতে হলে সিগারেটের দাম বৃদ্ধি করতে হবে। এনার্জি ড্রিংকসের ফলে মাতাল হয়। ট্রাক ড্রাইভাররা মদ খেয়ে ট্রাক নিয়ে রওনা হয় বলে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই এসব থেকে বাঁচতে হলে সবার প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে তা হাতের নাগালের বাইরে নিতে হবে।

তিনি বলেন, পরিবার সচেতন না হওয়ায় এবং সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সমাজে কিশোর গ্যাং বৃদ্ধি পেয়েছে। ১২, ১৪, ১৮ বছর বয়সের ছেলে-মেয়েরা খুনখারাবিতে জড়িয়ে পড়েছে। এসব প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন আমাদের জনসচেতনতা। পরিবারকে এসব ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে হবে।

জাফরুল্লাহ বলেন, সরকার বাস্তববাদী না হয়ে ডোপ টেস্টের সিদ্ধান্ত নিলেই শুধু হবে না। চাকরিতে প্রবেশের আগে সেই ব্যক্তি ধূমপায়ী কি না সেটিও পরীক্ষা করতে হবে। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ব্রিগে. জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলাম প্রমুখ। অনু্ষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।

এমএইচএন/এইচকে