দেশে গত ১৫ থেকে ২০ মাসে অন্তত ৫০টি টেক্সটাইল মিল (কারখানা) বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল।

তিনি বলেন, এই কারখানাগুলো পুনরায় চালু করাও খুব কঠিন কাজ। সরকারের এখানে কোনো নজরদারি দেখতে পাইনি। অথচ মিলগুলো বন্ধ হওয়ায় দুই লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হারিয়ে গেছে।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বিটিএমএ আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি এসব কথা জানান। 

স্পিনিং সেক্টরে দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যমান নানাবিধ সমস্যা এবং তা উত্তরণের লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এই সংক্রা বিটিএমএর দাবি তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশেষ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল জানান, এখন ব্যবসায় সংকট, অর্থনীতিতে সংকট, রাজনীতিতে সংকট। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সুতা বাংলাদেশে ডাম্পিং হচ্ছে ৩০ সেন্ট কম মূল্য হ্রাস করে। এতে এরইমধ্যে ৫০টি মিল বন্ধ হয়ে গেছে। এই কারখানাগুলোতে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকার কম নয়। অথচ ভারত থেকে কম মূল্যে সুতা আমদানি বেড়েছে ১৩৭ শতাংশ। অন্যদিকে দেশের সুতা উৎপাদক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

তিনি বলেন, আমার পাঁচটা ফ্যাক্টরির মধ্যে একটি বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আমার নেক্সট প্ল্যান হচ্ছে পরেরটা কীভাবে বন্ধ করবো? কারণ বন্ধ করাও অনেক কঠিন। ব্যাংকের টাকা পয়সা বুঝিয়ে দিয়ে তারপর বন্ধ করতে হয়। যদি বিটিএমএর সভাপতি হিসেবে আমার ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়, তাহলে আপনাদের একটু আলোকপাত করা উচিত। আর এভাবে যদি ৬ মাস চলতে থাকে দেখা যাবে যে টেক্সটাইলবিহীন বিটিএমএর সভাপতি হয়ে গেছি। এটাই আপনারা দেখবেন হয়ত আগামী দিনে।

স্পিনিং মিলকে বাঁচাতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নীতি সহায়তা চেয়ে শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ভারত একটি পলিসি করে মাত্র তিন ঘণ্টায়। কিন্তু, আমাদের বছর পার হয়ে গেলে পলিসি হয় না। এই সেক্টরকে বাঁচাতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত আসা উচিত বলে মনে করছি।

এমএমএইচ/এমএন