বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশ ও চীনের দীর্ঘদিনের অটুট দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতিফলন হিসেবে মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকার সংযোগকারী ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর (মুক্তারপুর সেতু) ব্যাপক সংস্কার ও আধুনিকায়নের কাজ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। চীন সরকারের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় সেতুর সম্পূর্ণ সংস্কার কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো সেতুর কাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করা, যা অত্র অঞ্চলের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর তীরে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ। অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধি দল এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সেতু সচিব বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান-এর বিশেষ দিকনির্দেশনায় এবং সরাসরি তত্ত্বাবধানে মুক্তারপুর সেতুর এই সংস্কার কাজ পরিচালিত হচ্ছে। উপদেষ্টার দূরদর্শী নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গুণগতমান বজায় রেখে কাজ সম্পন্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এই সংস্কারের ফলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে মুন্সীগঞ্জসহ দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও নিরাপদ ও আধুনিক হবে।  

চীন সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে সচিব সেতু বিভাগ বলেন, চীন সবসময়ই বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে পাশে ছিল। এই সংস্কার প্রকল্পটি বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এর আওতায় দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার এক অনন্য উদাহরণ। দীর্ঘ সময় এই সেতু ব্যবহারের ফলে এর যে স্বাভাবিক সংস্কার প্রয়োজন ছিল, তা চীন সরকারের বন্ধুপ্রতিম সহযোগিতার মাধ্যমে শুরু হলো। এটি শুধু একটি সেতু নয়, বরং দুই দেশের আস্থার প্রতীক। চীন সরকারের এই কারিগরি সহযোগিতা আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুসংহত করবে।

এমএইচএন/জেডএস