রেলপথ, রেলওয়ে ইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সব সম্পদ বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকেরও পবিত্র দায়িত্ব। তাই ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিনিয়র তথ্য অফিসার) রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, অযৌক্তিকভাবে রেললাইন অবরোধ এবং রেললাইনের ইচ্ছাকৃত ক্ষতিসাধনের মতো কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় যাত্রীসাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ রেলওয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। একইসঙ্গে সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটায় রেলওয়ের ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

যেহেতু রেল রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি জাতীয় সম্পদ, তাই রেলের যে কোনো ক্ষতি ও লোকসান মূলত জাতীয় সম্পদ তথা সাধারণ জনগণেরই ক্ষতি। এই ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসান প্রতিরোধ করা দেশের সব নাগরিকের নৈতিক ও পবিত্র দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন ও যত্নশীল হওয়ার জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যাত্রীসাধারণকে মানসম্মত সেবা প্রদানে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে সব নাগরিকের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন বা ক্ষতিসাধনের চেষ্টা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা অন্য যেকোনো কর্মসূচির নামে বেআইনি পন্থায় রেলের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনের আওতায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমএইচএন/জেডএস