বিদ্যুৎ কর্মকর্তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ, দুদকের মামলা
চট্টগ্রামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বিজ্ঞাপন
আসামিরা হলেন— নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ভীমপুর গ্রামের বাসিন্দা ফেরদৌসী বেগম (৫২) এবং তার স্বামী মো. ফজলে এলাহি (৫৮)। তাদের মধ্যে ফজলে এলাহি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক দপ্তরের উপপরিচালক (হিসাব ও অর্থ)। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর আবাসিক এলাকায় বসবাস করছেন।
দুদক সূত্র জানায়, ফেরদৌসী বেগম তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ২০ লাখ ৭৯ হাজার ৭০ টাকার সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রাখেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় অসৎ উদ্দেশ্যে নিজে অর্জিত অর্থ দ্বারা স্ত্রীর নামে সম্পদ অর্জন এবং তা ভোগদখলে রাখতে সহযোগিতা করার অভিযোগে তার স্বামী ফজলে এলাহির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ফেরদৌসী বেগমের নামে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শেয়ার, ব্যাংকে জমা অর্থ, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ ও সমবায় সমিতির শেয়ারসহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। ওই সময় পর্যন্ত তার নামে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৫৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩১ টাকা। একই সময়ে তিনি পারিবারিক ও অন্যান্য খরচ বাবদ ব্যয় করেন ৩৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০০ টাকা। ফলে তার মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৯ লাখ ৯৮ হাজার ২৩১ টাকা।
অন্যদিকে অনুসন্ধানে তার বৈধ আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৬৯ লাখ ১৯ হাজার ১৬১ টাকা। এতে তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২০ লাখ ৭৯ হাজার ৭০ টাকা। অনুসন্ধানে আরও উঠে আসে, সংশ্লিষ্ট সময়ে এসব শেয়ার ক্রয় ও বিনিয়োগ করার মতো পর্যাপ্ত আর্থিক সামর্থ্য ফেরদৌসী বেগমের ছিল না। বরং তার স্বামী মো. ফজলে এলাহি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে চাকুরিরত থাকা অবস্থায় নিজ অর্জিত অর্থ দ্বারা পারস্পরিক যোগসাজশে স্ত্রীর নামে এসব সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেন।
এমআর/এমজে