ভোটের মাঠে ৫১ রাজনৈতিক দল
মনোনয়ন জমায় এগিয়ে বিএনপি, দ্বিতীয় জামায়াত
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চান ৪৭৮ জন। এই নির্বাচনে বিএনপি ৩৩১ জন, জামায়াত ২৭৬ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২৬৮ জন, জাপা ২২৪ জন, গণঅধিকার ১০৪ জন ও এনসিপির ৪৪ জন প্রার্থী রয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫১টি রাজনৈতিক দলের মোট ২ হাজার ৯০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
গত সোমবার মনোনয়নপত্র জমার শেষদিন ছিল। মনোনয়নপত্র জমার পরদিন ইসির কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এনআইডি উইং মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর ৩০০ আসনের একীভূত তথ্য তুলে ধরেন। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের আগে জমা পড়া ২ হাজার ৫৭০ জনের মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চূড়ান্ত হবে ২০ জানুয়ারি, পরদিন প্রতীক যারা পাবেন তারা থাকবেন ভোটের লড়াইয়ে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৫১টি দল ভোটে প্রার্থী দিয়েছে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩৩১ জন প্রার্থী রয়েছে বিএনপির। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৬ জন প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২৬৮ জন। এনসিপি প্রার্থী দিয়েছে ৪৪ জন। জাতীয় পার্টির ২২৪ জন ও জাসদের ৭ জনের মনোনয়নপত্রও জমা পড়েছে। বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫৯টি। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় ভোটে নেই দলটি।
বিজ্ঞাপন
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ২ হাজার ৫৭০টি। এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৪৭৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে; বাকিরা রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটে আছে যেসব দল, মনোনয়নপত্র দিলেন যত জন
বিজ্ঞাপন
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ২৪ জন, জাতীয় পার্টি (জেপি) ১৩ জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ৬৫ জন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৩৩১ জন, গণতন্ত্রী পার্টি ১ জন, জাতীয় পার্টি (জাপা) ২২৪ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ৭ জন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৭৬ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) ৩১ জন, জাকের পার্টি ৭ জন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ৪১ জন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ৩ জন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১১ জন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ১৪ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ২৩ জন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (৫ জন), গণফোরাম ২৩ জন, গণফ্রন্ট ৬ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) ১ জন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ৫ জন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ২২ জন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ৩ জন, ইসলামী ঐক্যজোট ৩ জন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ৯৪ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২৬৮ জন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ২৭ জন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ৩ জন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ৭ জন, খেলাফত মজলিস ৬৮ জন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) ৭ জন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট) ২০ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ৯ জন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ৮ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেস ১৮ জন, ইনসানিয়াত বিপ্লব-বাংলাদেশ ৪২ জন, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ) ৯ জন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পাটি (বিএসপি) ২১ জন, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পাটি) ৫৩ জন, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)-১০৪ জন, নাগরিক ঐক্য ১১ জন, গণসংহতি আন্দোলন ১৮ জন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ২ জন, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি) ৯ জন, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ১৯ জন, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি) ১৩ জন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ৪৪ জন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) ৩০ জন, জনতার দল ২৩ জন, আমজনতার দল ১৭ জন, বাংলাদেশ সমঅধিকার পার্টি (বিইপি) ১ জন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ৬ জন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৭৮ জন ও অন্যান্য ১ জন (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মটরশ্রমিক দল)।
নিবন্ধিত যেসব দল ভোটে নেই
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)।
ইসির ১১ ডিসেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়ন পত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি এবং ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এসআর/এসএম