এবারও নিষেধাজ্ঞা অমান্য, বিকট শব্দে পটকা-আতশবাজি ফুটছে ঢাকায়
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হচ্ছে। এ অবস্থায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নতুন বছর ঘিরে রাজধানীজুড়ে পটকা ও আতশবাজি ফোটাতে দেখা গেছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে, সময় অনুযায়ী ১ জানুয়ারির প্রথম প্রহরে, রাজধানীর প্রায় সব এলাকায় আতশবাজি ও পটকা ফাটার বিকট শব্দ শোনা যায়।
বিজ্ঞাপন
ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুঁতেই আতশবাজি ও পটকা ফাটিয়ে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৬-কে স্বাগত জানায় নগরবাসীর একটি অংশ।
প্রতিবছর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষ্যে পটকা ও আতশবাজি ফোটানোর ওপর পুলিশের নিষেধাজ্ঞা থাকে। তবে এবার পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বুধবার থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে শোককালীন ঢাকা মহানগর এলাকায় সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ফানুস ও গ্যাস বেলুন ওড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ডিএমপি।
বিজ্ঞাপন
তবে সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এবারও বরাবরের মতো নতুন বছর উদযাপনে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আতশবাজির ঝলকে ঢাকার আকাশ রঙিন হয়ে ওঠে। সঙ্গে ছিল পটকার বিকট শব্দ। তবে আগের বছরের তুলনায় ফানুস ওড়ানোর ঘটনা ছিল কম।
অনেক এলাকায় রাত ১১টা থেকেই পটকা ফাটানো শুরু হয়। এতে করে অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। বিশেষ করে ছোট শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে পটকার শব্দ শারীরিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শোক পালনকালীন ঢাকা মহানগর এলাকায় সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ফানুস ও গ্যাস বেলুন ওড়ানো নিষিদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে পার্টি, র্যালি বা শোভাযাত্রা আয়োজন করা যাবে না।
এছাড়া উচ্চশব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো কিংবা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড থেকেও বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এসএএ/এমএসএ