বিস্ফোরণের ঘটনা অ্যালার্মিং, ব্যবস্থা না নিলে আরও ঘটবে
সঠিক নজরদারি এবং যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে মগবাজারে সংঘটিত বিস্ফোরণের মতো আরও অনেক ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান।
সোমবার (২৮ জুন) দুপুরে মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহাম্মেদ খান বলেন, আমাদের সেফটি সিকিউরিটি সিস্টেম উদ্বেগজনক। এই ঘটনা সবার জন্য অ্যালার্মিং। সঠিক নজরদারি ও ব্যবস্থাপনা না থাকলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি ও বিস্ফোরণের বিষয়গুলো অবজার্ভ করেছি। ঘটনাস্থলে আমরা এখনো ৮/৯ শতাংশ মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পেয়েছি। এখানে যদি বোমা জাতীয় কিছু থাকত, তাহলে আরও বেশি এক্সপ্লোশন হতে পারত।
বিজ্ঞাপন
মগবাজারকে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বলা যায়। এমন একটি জায়গায় এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা অব্যবস্থাপনা বা অনিয়মের কারণে ঘটছে বলে মনে করেন কি না জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের সাবেক এই মহাপরিচালক বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশেই উন্নয়নের কাজ চলছে। দ্রুত নগরায়ণ, শিল্পায়ন হচ্ছে। এসব কাজে অনেক ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড বা নির্মাণ কাজে ফায়ার নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। যে কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
তিনি বলেন, এই ঘটনার নানামুখী তদন্ত চলছে। আমরা মনে করছি, জমে থাকা গ্যাসে থেকে এক্সপ্লোশন ঘটেছে। যেটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিস তদন্ত করছে। আশা করছি ঘটনার সঠিক কারণ উঠে আসবে এবং নিশ্চয়ই যথাযথ কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাকে অ্যালার্মিং হিসেবে নিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
রোববারের ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ এখন পর্যন্ত সাতজন মারা গেছেন। দগ্ধ হয়ে ১৭ জন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ফায়ার সার্ভিসের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য থেকে জানা যায়, মোট ৬৬ জনের হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে। এর বাইরে অর্ধশতাধিক আহত ব্যক্তি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
জেইউ/এমএইচএস/জেএস