রোগীতে পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালের বেডগুলো

দেশে সোমবার (২৮ জুন) সর্বোচ্চ সংখ্যক ৮ হাজার ৩৬৪ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল সাড়ে সাত হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল, যেটি ছিল একদিনে সর্বোচ্চ। আগের দিন রোববার (২৭ জুন) কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ১১৯ জনের মৃত্যুর মাধ্যমে দেশ একদিনে এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যায় রেকর্ড হয়। এ অবস্থায় দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগী ও মৃত্যুর হার বাড়তে থাকা ও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হওয়াকে অশনি সংকেত মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে, সংক্রমণের হার টেনে ধরতে না পারলে শনাক্ত ও মৃত্যু আরও বাড়তে থাকবে। একইসঙ্গে দেশে করোনার এই পরিস্থিতিকে স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যর্থতা হিসেবেই দেখছেন তারা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, গত ২৫ জুন (শুক্রবার) দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার ৮৬৯ জন। সেদিন ভাইরাসটিতে দেশে ১০৮ জনের মৃত্যু হয়। এরপরের দিন ২৬ জুন (শনিবার) করোনা পরীক্ষা কিছুটা কম হওয়ায় শনাক্ত হয় চার হাজার ৩৩৪ জন, মৃত্যু হয় ৭৭ জনের। রোববার দেশে করোনায় মৃতের নতুন রেকর্ড গড়ে না ফেরার দেশে চলে যান ১১৯ জন। একইসঙ্গে করোনা শনাক্ত হয় আরও পাঁচ হাজার ২৬৮ জনের। রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যুর পর সোমবার দেশে আবারও শনাক্তের রেকর্ড তৈরি হয়। ৮ হাজার ৩৬৪ জনের করোনা শনাক্তের দিনে মারা যান আরও ১০৪ জন।

গত এক সপ্তাহে দেশে শনাক্ত ও মারা যাওয়ার হার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত ২০ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত সময়ে এক লাখ ৭৬ হাজার ৮৭৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৫ হাজার ১১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ৫৮৭ জনের। এছাড়া করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজার ৭০৮ জন। এর আগে ১৩ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত এক লাখ ৪৯ হাজার ১৪০টি নমুনা পরীক্ষায় ২৩ হাজার ৫৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়, মৃত্যু হয় ৩৯৫ জনের।

এদিকে, দেশে করোনা সংক্রমণের এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরও উদ্বেগ জানিয়েছে। অধিদফতরের মুখপাত্র ও জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন আশঙ্কা জানিয়ে বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে, এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই করোনা হাসপাতালগুলোতে সাধারণ শয্যাও পাওয়া যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘গত এক মাসের তুলনায় সংক্রমণের সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালগুলোতে আবারও করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভিড় আমরা দেখতে পাচ্ছি।’

রোবেদ আমিন বলেন, ‘হাসপাতালগুলোতে দ্রুতই শয্যা সংখ্যা পূরণ হয়ে যাচ্ছে। রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতালের আইসিইউ পূরণ হয়ে গেছে। বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউও পূরণ হয়ে যাচ্ছে। মাত্র ২৮১টি শয্যা খালি রয়েছে। গত মাসের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ শয্যাই পূরণ হয়ে গেছে।’

দুই উপায় ছাড়া সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি কেউ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান খসরু ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘সংক্রমণ বাড়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথমত হলো- বিশ্বের অন্যান্য দেশ যেভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করেছে, আমরা সেক্ষেত্রে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছি। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রথম শর্ত ছিল মাস্ক পরা। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষই নিয়ম মেনে মাস্ক পরেনি। স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা ছিল, কিন্তু কতটুকু মানা হয়েছে বা হচ্ছে তা সবাই জানে। এই মাস্ক পরা এবং সামজিক দূরত্ব বজায় রাখা, এই দুটি উপায় ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।’

দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে- ‘বিভিন্ন সময়ে নতুন ধরনের ভ্যারিয়েন্ট আসছে। তার মধ্যে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ছিল বেশি। আর এই ধরনের ভ্যারিয়েন্ট যখন দেশে এলো তখনই মানুষ আক্রান্ত হওয়া শুরু করেছে। আর তৃতীয়ত হলো- ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় যখন মানুষের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণের আলোচনা শুরু হয়েছিল, সেটা কখনোই কার্যকরভাবে করা যায়নি। যার ফলে এই নতুন ভেরিয়েন্ট এবং সাধারণ সংক্রমণ দুটি দেশব্যাপী, বিশেষত গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে গিয়েছে।’

সংক্রমণ রোধে সীমান্তবর্তী জেলাগুলো লকডাউন করা হয়েছে, তবুও কেন সারাদেশে করোনা ছড়াল-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কার্যকর লকডাউন তো কোনো জেলাতেই প্রয়োগ করা হয়নি। কোথাও যখন আগুন লাগে, তখন কিন্তু ফায়ার ব্রিগেড শুধুমাত্র আগুন লাগার জায়গায় পানি ঢালে না। এমনকি তার চারপাশের জায়গাগুলোও পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেয়, যেন আগুন বিস্তার লাভ করতে না পারে। তেমনি আমরা লকডাউন দিয়েছি চাঁপাইনবাবগঞ্জ আর রাজশাহীতে। কিন্তু নাটোর, নওগাঁতে তো সংক্রমণ আটকে থাকেনি। কারণ জেলাগুলো পাশাপাশি। প্রতিটি জেলাই তো তার পাশের জেলার সঙ্গে যুক্ত। মানুষ তো শুধুমাত্র হাইওয়ে সড়ক দিয়ে চলাচল করে না। কিন্তু আটকানো হয়েছে শুধুমাত্র হাইওয়ে সড়কগুলো। এভাবে তো মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আর এসব লকডাউন দিয়ে তো এক জেলা থেকে আরেক জেলায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এটা নিয়ন্ত্রণ করা যেত যদি পুরোপুরিভাবে জেলাগুলোকে আলাদা করে ফেলা যেত, কিন্তু এক্ষেত্রে তো সীমান্তবর্তী এতগুলো জেলাকে আপনি আলাদা করতে পারবেন না।’

দেশের সীমান্তবর্তী ১৪-১৫টি জেলাসহ তার পার্শ্ববর্তী কিছু জেলাকে শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ওই জেলাগুলোতে লকডাউন দেওয়া হলেও সেই লকডাউন কতটুকু যে পালন হয়েছে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সবমিলিয়ে সীমান্তবর্তী জেলা এবং এর আশপাশের জেলাগুলোতে সংক্রমণের বিস্তার রোধ করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি’, যোগ করেন অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ দেশেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিনেশনের সঠিক প্রয়োগ করেছে। এর পাশাপাশি লকডাউন কার্যক্রমের মাধ্যমে সংক্রমণকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গিয়েছে। যেকোনো স্থানে স্বাভাবিকভাবেই লকডাউন তো আর এক-দুই মাস বা তার বেশি সময় দিতে পারবেন না, সেক্ষেত্রে এই সময়টাতে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সফলভাবে করতে পারলে সংক্রমণ আর বাড়তে পারে না। যেহেতু আমাদের দেশে লকডাউন কার্যকর হয়নি এবং টিকা কার্যক্রমও দুর্বল হয়ে গেছে সেক্ষেত্রে সংক্রমণ বাড়ার কথাই।’

মানুষের অসচেতনা আর অজ্ঞতা সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘গত একমাস যাবত বলা হচ্ছিল যে সংক্রমণটা আবার বাড়বে, কিন্তু কোনো মানুষই কোনো ধরনের বিধিনিষেধ, সামাজিক দূরত্ব ও সচেতনতা মানেনি। এক্ষেত্রে শুধু সরকার নয়, সাধারণ জনগণকেও আন্তরিক হতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ তো বিশ্বাসই করে না যে করোনাভাইরাস বলে কিছু আছে। দেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে এক কোটি মানুষ হয়তো বিশ্বাস করে, তাও তাদের সবাই মাস্ক পরে না। তাহলে এই দেশে কী কারণে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ আসবে?’

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি স্বাস্থ্য অধিদফতর

করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বাড়ছে। এমনকি সোমবার শনাক্তে রেকর্ড হয়েছে। আবারও সংক্রমণ বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো- দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া। যেমন- ঈদের আগে সংক্রমণ কম ছিল। কিন্তু ঈদের পরে সংক্রমণ যখন বাড়তে শুরু করল, তখন আমাদের কাছে খুবই স্পষ্ট ছিল এটি ভারত থেকে আসা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। কিন্তু তখন সেটা আমাদের স্বাস্থ্যবিভাগের মূল্যায়নেই এলো না। তারা বলতে শুরু করল- ঈদের আগে লোকজন বেশি যাতায়াত করেছে, ফলে সংক্রমণ বাড়ছে। এরকম যদি কোনো বিষয়ে সঠিক মূল্যায়ন না হয়, তাহলেতো আপনি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন বললাম ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ বাড়ার আসল কারণ, তখন স্বাস্থ্য বিভাগ রীতিমতো আমাদেরকে উপহাস শুরু করল। তারা বলল যে, ওনারা তো অনেক কিছুই বলেন এবং বোঝেন। কিন্তু আমাদের কাছে পরিষ্কার, যদি ঈদের কারণেই বাড়বে তাহলে সারাদেশে বাড়তে পারত, গাইবান্ধায় কেন বাড়ল না, আর চাঁপাইনবাবগঞ্জে কেন বাড়ল? তাহলে কি ওই এলাকার বহু লোক ঢাকায় কাজ করে? বহু লোক ঈদের আগে বাড়ি গিয়েছে? কিন্তু গাইবান্ধারও তো বহু লোক ঢাকায় থাকতে পারে, তারাও তো বাড়িতে গিয়েছে। তাহলে তো গাইবান্ধায়ও সংক্রমণ বেড়ে যেত।’

অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কাছে তো পরিষ্কার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ভয়াবহতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অনেক সংস্থাই বলেছে ভারতের যে সংক্রমণ, সেটি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে অবশ্যই যাবে। সুতরাং তারপরও যদি স্বাস্থ্য বিভাগ যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলেতো সংক্রমণ বাড়বেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে যখন সীমান্তে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করল, তখনও কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। পরে একসময় স্বাস্থ্য বিভাগ নয় বরং জনপ্রশাসন বিভাগ থেকে লকডাউন চালু হলো। তবে এরমধ্যেই যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই অবস্থাতেও আমরা বারবার বার্তা দিলাম, সেটাও তারা কানেই নিল না, বরং লকডাউন খুলে দেওয়া হলো। সারাদেশে আন্তঃপরিবহন চালু করে দেওয়া হলো, ফলে এটা এখন দেশজুড়ে ছড়িয়েছে।’

করোনা প্রতিরোধে মানতে হবে তিন নিয়ম

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. মুশতাক হোসেন ঢাকা পেস্টকে বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। শুরুতে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বেশি ছড়ালেও এখন ধীরে ধীরে সারাদেশেই বন্যার পানির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। এজন্য নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট অনেকটাই দায়ী। তবে এর সঙ্গে আমাদের সচেতনতা ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাও দায়ী।’

তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় তিনটি। প্রথমটি হচ্ছে- রোগী শনাক্তকরণ। এর মাধ্যমে সবাইকে ব্যবস্থাপনার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ তাদের চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। এদের মধ্যে যারা হাসপাতালে রয়েছে, তারা তো চিকিৎসার মধ্যেই রয়েছে। আর যারা হাসপাতালে নেই, বাসায় আছে তাদের টেলিমেডিসিনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যেন তারা বিপদ সংকেতটা বুঝতে পারে যে কখন হাসপাতালে যেতে হবে। তাদের আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। আর যাদের আইসোলেশনে থাকতে সমস্যা, যাদের কামাই-রুজিতে অসুবিধা হয়, তাদের সহায়তা দিতে হবে যেন তারা ঘরে থাকতে পারে।’

দ্বিতীয়ত হচ্ছে- সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনে সরকারকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এলাকাভিত্তিক কমিটি করে দিতে হবে। যারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করে, তাদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব নিয়ে তদারকি করতে হবে। আর তৃতীয়ত হচ্ছে- টিকাদান। যেহেতু এই মুহূর্তে আমাদের হাতে পর্যাপ্ত টিকা নেই, এখন থেকেই ক্যাম্পেইন করতে হবে। টিকা আসা মাত্রই যেন সবাই টিকা নেয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এই তিনটি পদ্ধতিতেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সংক্রমণ ভ্যারিয়েন্টের কারণেই বাড়ুক বা অন্য যেকোনো কারণেই বাড়ুক, আমাদের অবশ্যই এটি টেনে ধরতে হবে।

টিআই/জেডএস