বিদেশি বিভিন্ন নকল ওষুধ তৈরিতে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর হাতিরপুল, রামপুরা ও মালিবাগ থেকে এক নারীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  

যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন- লুবনা আক্তার (২৬), আনোয়ার কাজী (২৭), রাম চন্দ্র বসাক (৬২), এসএম তাজমুল তারিক (৬৩) ও কনক কুমার শাহা (৫২)। সোমবার বিকেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু ভেজাল ওষুধ জব্দ করা হয়।  

গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান জানান, নকল ওষুধ তৈরির খবরের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

তিনি আরও জানান, নারায়ণগঞ্জ জালকুড়িতে অবস্থিত আয়ুর্বেদিক দাওয়াইখানা থেকে তৈরি অনুমোদনবিহীন বিভিন্ন ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল কেজি দরে অথবা হাজার পিস ধরে কিনে নিয়ে যে যার ইচ্ছে মতো জেনেরিক নেম/ ট্রেড নেম বসিয়ে কখনও হার্টের ওষুধ, কখনও লিভারের ওষুধ, কখনও হাড়ের ওষুধ এবং বেশিরভাগ সময় যৌন রোগের ওষুধ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। এসব ওষুধ যুক্তরাষ্ট্র বা চীন থেকে আমদানি করা বলেও চালানো হয়। 

যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানিয়েছে, ঢাকার চকবাজার, মিটফোর্ড এলাকা  থেকে তারা প্লাস্টিকের বোতল, সিপি, সিলিকন সংগ্রহ করেন। এরপর হাতিরপুল, নীলক্ষেত, ফকিরাপুল ও মালিবাগের বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকান থেকে বিভিন্ন হলোগ্রাম, মনোগ্রাম সম্বলিত ঝকঝকে রঙিন স্টিকার ও লেবেল তৈরি করেন। এরপর সেসব লেবেলে ভুয়া বিভিন্ন কোম্পানির নাম ব্যবহার করা হয়। 

দেশের কিছু নীতিহীন চিকিৎসক উপহার, কমিশন প্রাপ্তির লোভে এই সমস্ত ভেজাল ওষুধ রোগীদেরকে প্রেসক্রাইব করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। 

ভেজাল এ ওষুধের পাইকারদের একটি সিন্ডিকেট ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, কক্সবাজার, মানিকগঞ্জসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জেইউ/এনএফ