ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সঙ্গে শর্ত ছিল কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করে কাজ করতে হবে। কিন্তু সেই শর্ত অনুযায়ী কাজ করেনি তারা। তাই কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকায় মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের কারণে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। আগামীতে যেন এ ধরনের ভোগান্তি না হয়, সেজন্য এখন থেকে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে ডিএনসিসি।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া এলাকা পরিদর্শন শেষে মেয়র বলেন, উপরে মেট্রোরেলের কাজ চলছে আর নিচে ড্রেন বন্ধ, রাস্তায় জলাবদ্ধতা। তারা ড্রেন পরিষ্কার করছেন না, জলবদ্ধতা নিরসনের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। এতে ওই এলাকার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগ হয় এমন কিছু আর হতে দেওয়া হবে না। এখন থেকে তারা যে কাজই করবে ডিএনসিসির সঙ্গে আলোচনা করে করতে হবে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। এই এলাকায় সড়কে ভোগান্তি দেখতে দেখতে অনেকে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, মিরপুর ১০ নম্বর থেকে শেওড়াপাড়া সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। এখানে মেট্রোরেলের কাজ চলছে। নিয়ম হচ্ছে, যখন কোথাও এ ধরনের কোনো কাজ হয় তখন সেই সড়কের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া। তেমনি এই সড়ক মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয়েছিল। শর্ত ছিল, তারা এখানকার কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করবে। যেমন সড়কের পাশের ফুটপাত চলাচলের উপযোগী রাখবে, ফুটপাতের নিচের ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করবে। আর প্রধান সড়কের নিচে থাকা মাস্টার ড্রেন দেখবে ওয়াসা। কিন্তু তারা সেই কাজ ভালোভাবে করেনি। যে কারণে এখানে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে এখন থেকে এসব সড়কে যাই করতে হবে তার জন্য আমাদের সঙ্গে, সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে করতে হবে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এবং আমরা সম্মিলিতভাবে এখানকার সড়ক, ড্রেনের কাজ করবো। আর ওয়াসা যে কাজ বাকি রেখেছে তার জন্য আমরা বসে নেই, ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ৩৬ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।

এএসএস/এসকেডি