করোনাকালীন সময়েও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশ রেলওয়ের শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি। 

বুধবার (৩০ জুন) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করেন সংগঠনটির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশের রেলওয়ে হাসপাতালগুলোর মাধ্যমে রেল শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতি বছর প্রয়োজন কমপক্ষে ২ কোটি টাকা। অথচ বরাদ্দ করা হচ্ছে ৪০-৪৫ লাখ টাকা। বাজেট স্বল্পতার কারণে সারাদেশের রেলওয়ে হাসপাতালগুলো আজ নিজেরাই রোগীতে পরিণত হয়েছে। রেলওয়ের অসহায় শ্রমিক-কর্মচারীদের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা রেলওয়ে হাসপাতালগুলোর অবস্থাই আজ বেহাল। আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পর্যাপ্ত চিকিৎসক-নার্স-স্টাফ না থাকায় রোগীরা সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

আরও বলা হয়, বর্তমানে দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরণ ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন। সরকারও সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে। যাত্রী পরিবহন বন্ধ হলেও মালবাহী ট্রেন চালু থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রেলওয়ের শ্রমিক-কর্মচারীরা কাজ করলেও তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারছে না রেলপথ মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে আমরা মনে করি।

সংকট তুলে ধরে বলা হয়, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা কেউ রেলওয়ের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা নেন না। তারা দেশ-বিদেশের নামি-দামি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তাদের চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে না বলেই কি হাসপাতালগুলোর এ দুরাবস্থা? যাদের কঠোর পরিশ্রমে রেলপথ সচল থাকে তাদেরই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে রেলপথ মন্ত্রণালয় আজ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আইবাস++ সিস্টেম জটিলতার কারণে রেলওয়ের শ্রমিক-কর্মচারীরা করোনাকালীন সংকট মুহূর্তে যথাসময়ে বেতন-ভাতা-পেনশন পাচ্ছেন না। তার ওপর রেলওয়ে হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্যসেবাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

দাবি জানিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে অবিলম্বে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। রেলওয়ে হাসপাতালগুলোতে জনবল নিয়োগ ও আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয় করে আধুনিক হাসপাতালে রূপান্তরের মাধ্যমে রেলের শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।

এমএইচএন/জেডএস