ইনসেটে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক

সাক্ষ্য আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিরোধীদলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান। 

এর আগে, জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের সদস্যরা ছাঁটাই প্রস্তাবের পর তাদের বক্তব্য দেন। এ সময় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানসহ একাধিক সংসদ সদস্য সাক্ষ্য আইনটিকে যুগোপযোগী করার প্রস্তাব তোলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, সাক্ষ্য আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে। এ আইনের ১৫৫ ধারায় রেপ কেসে (ধর্ষণ মামলা) ভিকটিমের (ভুক্তভোগী) চরিত্র নিয়ে কথা বলার একটা সাব সেকশন (উপ ধারা) আছে। সেটাও পরিবর্তন করার নির্দেশনা পেয়েছি। পূর্ণাঙ্গভাবে সেপ্টেম্বর মাসে যে সংসদ অধিবেশন হবে সেখানে হয়তো আইনটি নিয়ে আসতে পারব।

সাক্ষ্য আইনে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার যুক্ত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সাক্ষ্য আইনের কথা বলা হয়েছে। এখানে একটু বলে রাখি, এভিডেন্স অ্যাক্ট যুগোপযোগী করার কাজ চলছে। আমার মনে হয়, আগামী সংসদে আমরা এটি আনতে পারব। বিশেষ করে এটি হবে ভার্চুয়াল।

কোভিডকালে ভার্চুয়াল আদালত চালুর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, করোনার কারণে গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে মে পর্যন্ত আদালত বন্ধ ছিল। যে কারণে অনেক মামলা জমে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলা পরিচালনার বিধান করা হয়। এ কারণে এক লাখ ৩৭ হাজার ৩৩০টি মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব হয়েছে। ভার্চুয়াল কোর্ট না হলে আজ ৩৯ লাখ মামলার যায়গায় আমাদের ৪১ লাখ মামলা পেন্ডিং থাকার কথা শুনতে হতো।

এইউএ/আরএইচ