নীরব হলি আর্টিজান, শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি কেউ
আজ ১ জুলাই। ২০১৬ সালের এই দিনে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কে অবস্থিত হলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটে যায় নারকীয় এক জঙ্গি হামলা। হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ নিহত হন ২২ জন।
প্রতি বছরের এই দিনে হলি আর্টিজানে এসে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দেশি-বিদেশি নাগরিক ও স্বজনরা। কিন্তু এবার আর তা হচ্ছে না। লকডাউনের কারণে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত নীরব হলি আর্টিজান।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, হলি আর্টিজানের সামনে ও ভেতরে ১০-১৫ জনের একটি পুলিশের টিম বসে রয়েছে। প্রধান ফটকের সামনে বসে আছেন দুইজন সিকিউরিটি গার্ড। বন্ধ রয়েছে হলি আর্টিজানের ঢুকার ফটকটি।
আরও দেখা যায়, ভেতরে কেউ না থাকলেও হলি আর্টিজানে সামনে একটি টেবিলের ওপর তিনটি ফুলের তোড়া। হয়ত কেউ শ্রদ্ধা জানিয়ে গেছেন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে হলি আর্টিজানের সামনে দায়িত্বরত গার্ডকে জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, লকডাউন হওয়ায় গতকাল বিকেলে কয়েকজন বিদেশি এসে শ্রদ্ধা জানিয়ে গেছেন। তাদেরই শ্রদ্ধা নিবেদনের ফুলের তোড়া এই তিনটি। তবে ভেতরে কেউ শ্রদ্ধা জানাতে পারেননি। শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা বাহির থেকেই ঘুরে গেছেন।
এদিকে পুলিশ ও র্যাব সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ায় হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পঞ্চম বার্ষিকীর সব প্রোগ্রাম বাতিল করা হয়েছে। তবে আজ সকালে গুলশান-২ এ ওই হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন খান ও মো. রবিউল করিমের ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন র্যাবের মহাপরিচালক ও ডিএমপি কমিশনার।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, জঙ্গি দমনে র্যাবের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে জঙ্গিরা এখন অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। র্যাবের নিয়মিত অভিযান ও নজরদারি কারণে তারা তৎপরতা দেখাতে পারছে না।
র্যাব ডিজি বলেন, র্যাব শুরু থেকেই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রেখে আসছে। হলি আর্টিজান পর এই হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক জঙ্গিকে র্যাব গ্রেফতার করেছে। র্যাবসহ সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানের কারণে দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যার সুফল দেশের নাগরিকরা পাচ্ছেন।
এদিকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, সারাবিশ্বের জঙ্গিরা এখন অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। দেশেও অনলাইনে জঙ্গি কার্যক্রম দেখা যায়। অনলাইনে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে।
এমএসি/এমএইচএস