রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণে আহত রাসেল (২০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

মগবাজারের ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ জনে। রোববার ঘটনার দিনই ৭ জন নিহত হয়েছিলেন। মঙ্গলবার ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, বুধবার মারা যান ইমরান নামে এক যুবক। আজ ভোরে মারা যান নুরুন্নবী। এরপর দুপুরে রাসেলের মৃত্যু হয়।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে মারা যান রাসেল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন।

তিনি বলেন, পাঁচদিন আইসিইউতে ভর্তি থাকার পর রাসেল (২০) দুপুর সোয়া ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেল মারা যায়। নিহতের শরীরে ৯০ শতাংশ ফেস ও স্পিল্ট ইনজুরি হয়েছিল। মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় এ নিয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন তিনজনই মারা গেলেন।

নিহতের চাচা মানারুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের একটি সরকারি কলেজে রাসেল স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। রাসেলের বাবা জসীমউদ্দীন পেশায় একজন কৃষক। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে রাসেল সবার বড়।

তিনি আরও জানান, কলেজ বন্ধ থাকায় ছয় মাস আগে রাসেল ঢাকায় আসে। বিস্ফোরণের পাঁচ দিন আগে বেঙ্গল মিটে চাকরি নেন তিনি। মগবাজার এলাকায় থাকত রাসেল।

ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ১১ জন নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি। তাদের মধ্যে ১৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ও ৪৩ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এসএএ/এমএইচএস