করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার নির্দেশিত ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ বাস্তবায়নে যৌথ চেকপোস্ট পরিচালনা করছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। শনিবার (৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর রাসেল স্কয়ার ও কলাবাগান এলাকায় এই চিত্র দেখা যায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ প্রজ্ঞাপনে যেসব বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করতে প্রতিটি গাড়ি এবং চলাচলকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আজ রাজধানীর আসাদগেট, শুক্রাবাদ, পান্থপথ, সায়েন্স ল্যাবরেটরীসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকার অলি গলিতে সেনাবাহিনী, সংশ্লিষ্ট থানা ও বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।

শুক্রাবাদ এলাকার বাজারে পুলিশের টহল

রাসেল স্কয়ার মোড়ে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট সুমন কুমার মোহন্ত। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এত কঠোরতা এবং সচেতনতার পরও অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন। চেকপোস্টে জিজ্ঞেস করলে কোনো কারণ বলতে পারছেন না। অহেতুক চলাচলকারীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

এছাড়াও লকডাউনের তৃতীয় দিনে কড়াকড়ি অবস্থানে প্রশাসন। তাই এই সড়কে জরুরি খাদ্য ও পণ্যবাহী ট্রাক, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার ও রিকশা ছাড়া অন্য তেমন কোনো যানবাহনের চলাচল নেই।

লকডাউন বাস্তবায়নে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সম্মিলিত তৎপরতা চলছে জানিয়ে ট্রাফিক পুলিশের ধানমন্ডি জোনের উপ-কমিশনার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ট্রাফিক বিভাগ, সংশ্লিষ্ট থানা এবং অন্যান্য বাহিনী একসঙ্গে টহল দিচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বের না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে আমরা চেকপোস্ট পরিচালনা করছি।

লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে সেনাবাহিনী

অপরদিকে আবাসিক এলাকার বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে। বেলা ১১ টায় শুক্রাবাদ কাঁচা বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। এ সময় নির্দেশনার বাইরে যেসব দোকান খোলা রাখা হয়েছিল সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

শেরে বাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক ইউসুফ আলী ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বাজার পরিচালনা নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু আমরা দেখেছি প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনায় যেসব দোকান বন্ধ রাখার কথা, সেগুলোও খোলা হয়েছে। আমরা সবাইকে নির্দেশনা মেনে চলতে বলেছি। এরপরও কেউ বিধিনিষেধ অমান্য করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে রাজধানীতে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার (২ জুলাই) অকারণে সড়কে বের হওয়ায় ৩২০ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এর আগে প্রথম দিন ৫৫০ জনকে আটক করা হয়।

আরএইচটি/এমএইচএস