নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় থাকেন পলাশ কুমার। শনিবার (৩ জুলাই) বিকেলে জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ এ ফোন করে বলেন, ‘আমাদের এলাকায় এমনিতেই অনেক করোনা রোগী। তারপরও লকডাউন উপেক্ষা করে এলাকার বাজার ও চায়ের দোকানগুলোয় লোকজন অতিরিক্ত ভিড় করছে। আড্ডা দিচ্ছে। একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ধূমপান করছে। বার বার বলার পরেও সরছে না। পুলিশ আসলে দৌড়ে পালাচ্ছে, আবারও জড়ো হচ্ছে। প্লিজ ব্যবস্থা নিন।’

দেশে চতুর্থ দিনের মতো সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। আগের তিন দিনের তুলনায় রোববার (৪ জুলাই) ঢাকার সড়কে মানুষ এবং যানবাহনের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। অন্যদিকে লকডাউন চলাকালে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন কলের সংখ্যাও বেড়েছে।

জরুরি সেবা ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ জানায়, সরকার বিধিনিষেধ পালনের যে নির্দেশনাগুলো দিয়েছে সেগুলো ভঙ্গ করলেই ফোন আসছে ৯৯৯ এ। এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত ৫০০টি কল এসেছে। অধিকাংশ কলেই নাগরিকরা বলেছেন, তাদের এলাকায় লকডাউন পালন করা হচ্ছে না। ৯৯৯ এর কাছে যেসব কল জরুরি মনে হয়েছে সেগুলোয় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (৩ জুলাই) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ৯৯৯ এ লকডাউনের ত্রাণ সহায়তা, হাসপাতালে রোগী নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন এবং করোনা টেস্টের তথ্য চেয়ে ১৫০টির মতো ফোন এসেছে।

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) আনোয়ার সাত্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সাধারণত জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস বা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সংক্রান্ত কলের হিসেব রাখি। তবে লকডাউনের কিছু কমন কল আসায় আমরা সেগুলো নোট করে রাখছি। সম্প্রতি ত্রাণ সহায়তা চেয়ে অনেক কল আসছে। এছাড়াও সাধারণ সময় দিনে গড়ে ২৫ থেকে ২৬ হাজার কল আসতো। কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালীন গত তিন দিনে গড়ে ৩০ থেকে ৩১ হাজার ফোন এসেছে। দিনে প্রায় ৫ হাজার কল সংখ্যা বেড়েছে।

এআর/এসকেডি