নারী আসামিকে নির্যাতন : বিভাগীয় তদন্ত চায় মহিলা পরিষদ
বরিশালের উজিরপুর থানায় হত্যা মামলায় গ্রেফতার নারী আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
সোমবার (৫ জুলাই) মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর সই করা বার্তায় এ দাবি জানানো হয়
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, গত ২৮ জুন ওই নারীকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার করে বরিশাল জেলার উজিরপুর থানায় নিয়ে যাওয়ার পরপরই এক নারী পুলিশ সদস্যসহ উপস্থিত অন্য পুলিশ সদস্যরাও তাকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন।
তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয় এবং ২৯ জুন দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। গত ২ জুন শুক্রবার রিমান্ড শেষে বরিশালের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের উজিরপুর আমলি আদালতে ওই নারীকে তোলা হলে তিনি অভিযোগ করেন, ২৯ জুন রিমান্ডে নেওয়ার পর পরদিন সকালে তাকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কক্ষে পাঠানো হলে সেখানে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন ও যৌন নিপীড়ন চালানো হয়। এরপর এক নারী পুলিশ সদস্যসহ তদন্ত কর্মকর্তা তাকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মারধর করেন।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে রাজধানীর সবুজবাগে দুই যুবক ‘প্রেমের ফাঁদে ফেলে’ অশ্লীল ছবি ধারণ স্কুলছাত্রীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। গতরাতেই ওই ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা সোমবার সকালে সবুজবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মহিলা পরিষদ বাস্তব অভিজ্ঞতায় লক্ষ্য করছে যে, বর্তমানে বাসস্থান, রাস্তা-ঘাট, গণপরিবহণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকা নারীরা যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যাসহ নৃশংস নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এরূপ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারী ও কন্যার নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকা নারীকে শারীরিক নির্যাতন ও যৌন নিপীড়ন এবং স্কুলছাত্রীকে আত্মহত্যায় ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে পরিষদ। থানা হেফাজতে নারীকে নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনপূর্বক তাদের যথাযথ আইনে শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানাচ্ছে পরিষদ। পাশাপাশি স্কুলছাত্রীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানায় সংগঠনটি।
জেইউ/আরএইচ