রাত থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। রাতে শুরু হওয়া সে বৃষ্টি ধারা অব্যাহত রয়েছে সকালেও (বুধবার)। চলমান লকডাউনের সপ্তম দিনের এই বৃষ্টিভেজা সকালেও ঘরবন্দি থাকেনি মানুষ।  রামপুরা, মালিবাগ, গুলশান, বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় দেখা গেছে মানুষের সরব উপস্থিতি। 

বুধবার (৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে গণপরিবহন না চললেও আগের দিনগুলোর তুলনায় সড়কে মানুষ, রিকশা, যানবহন অনেক বেড়েছে। বৃষ্টি এবং লকডাউন উপেক্ষা করে কাজে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি। সেই সঙ্গে যানবাহনও বেড়েছে সড়কে।  

প্রগতি সরণিতে কথা হয় জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি বলেন, কিছু কিছু অফিস ছাড়া অন্যগুলো খোলা আছে, তাহলে তো সড়কে মানুষ বের হবেই, লকডাউন একেবারে কঠোর হলে সব কিছুই বন্ধ করে দিতে হবে। আমাদের অফিস খোলা, না গেলে কি চাকরি থাকবে? তাহলে আমাদের মতো মানুষদের তো বের হতেই হবে। এখন যেহেতু অফিস যেতে হবে তাই কেউ হেঁটে যাচ্ছে, কেউ রিকশায় যাচ্ছে। এছাড়া কর্মজীবী মানুষও বের হয়েছে কাজের আশায়।  

গত কয়েকদিন দেখা না গেলেও আজ সড়কে দেখা মিলছে দুই একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাও। এমন এক সিএনজিচালক মোহম্মাদ রহমতুল্লাহ। তিনি বলেন, কয়দিন আর ঘরে বসে থাকবো? বাইরে বের হলে ট্রাফিক পুলিশের মামলা-হয়রানি, তবুও জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে বের হয়েছেন বেশ কজন চালক। ঘরে খাবার নেই, যে কারণে বাধ্য হয়ে আমাদের বের হতে হয়েছে। লকডাউনেও অনেক অফিস, কর্মক্ষেত্র খোলা আছে তাই সকালে সড়কে মানুষের প্রচুর উপস্থিতি। তারা গণপরিবহনের জন্য হাহাকার করছেন। স্বল্প দূরত্ব হলে রিকশায় যেতে পারছেন, কিন্তু যাদের অফিস বা কর্মক্ষেত্র দূরে অথবা জরুরি প্রয়োজনে কিছুটা দূরত্বে যেতে হবে, সে ক্ষেত্রে মানুষ কী করবে। এদিকে আমাদেরও ঘরে খাবার নেই, তাই বাধ্য হয়েই  বের হয়েছি। বাইরে এসে দেখা যাচ্ছে সড়কে মানুষের প্রচুর উপস্থিতি, শুধু চলছে না গণপরিবহন।

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথম দুই-তিন দিন লকডাউনের কার্যকারিতা ছিল সড়কে। এরপর থেকে মানুষ কাজে বের হচ্ছে। প্রথম দুই-তিনদিন তো তেমন ট্রিপই পাইনি। এরপর থেকে ট্রিপ পাচ্ছি ভালোই। আজ সকাল থেকে বৃষ্টি, তবুও মানুষের উপস্থিতি কম নেই।  

এএসএস/এনএফ