‘সোলার এনার্জি উৎপাদনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সম্ভব’
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ধনী দেশগুলোর কারণে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার বিরূপ প্রভাবের শিকার হচ্ছি। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এখন থেকেই সোলার এনার্জি উৎপাদন করতে হবে। এতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, সোলার এনার্জি উৎপাদনে অনেক বেশি জমির প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের জমির পরিমাণ কম। খাদ্য চাহিদা মেটাতে আমরা কৃষি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার করছি।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৮ জুলাই) অনলাইনে যুক্ত হয়ে ‘ফার্স্ট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফাইন্যান্স সামিট’-এ অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, সাবেক এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন। সামিটটি পরিচালনা করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ফসিল ফুয়েল ব্যবহারের কারণে বিশ্ব উত্তপ্ত হচ্ছে। বিমান ভ্রমণেও সমস্যা হচ্ছে। অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের বিশাল বরফখণ্ড গলতে শুরু করেছে। এর ফলে আমাদের দেশের নিচু অংশ ডুবে যাবে। উন্নত দেশগুলোর সহায়তা ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব না।
বিজ্ঞাপন
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এর আগে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার কারণে ২০০৩ সালে ইউরোপে ৭০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। এজন্য ধনী দেশগুলো দায়ী হলেও সমস্যা সমাধানে ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশকে প্রতিবছর ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ধনী দেশগুলোর জনসংখ্যা মাত্র ৫ শতাংশ। এতো কম জনসংখ্যা নিয়ে তারা ২২ শতাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপাদন করছে। অন্যদিকে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হচ্ছি।
রূপপুরে ফসিল ফুয়েল ব্যবহার হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাতারবাড়িতে যে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হবে এটা তেমন কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি করবে না। এছাড়াও আমরা রূপপুরে যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি, এখানে ফসিল ফুয়েল ব্যবহার করা হবে না।
এসআর/এমএইচএস