আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট/ ছবি : ঢাকা পোস্ট

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাশেম ফুডসের কারখানায় ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কারখানার ভেতরে অনেক শ্রমিক আটকে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট একযোগে চেষ্টা চালিয়েও কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, কারখানার ভবনটি ৭তলা বিশিষ্ট। ভবনের সামনে ও পেছন দিক থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেশি ও প্রচণ্ড কালো ধোঁয়া থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। তবে কারখানার ভেতরে কোনো শ্রমিক আটকে পড়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখছেন তারা।

কারখানার শ্রমিক ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কারখানাটির সপ্তম তলায় একটি কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে। এই গোডাউনের কারণে আগুনের ব্যাপকতা বেড়েছে।

এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কারখানাটির কর্মীরা বলছেন, কারখানার ভেতরে অনেক লোক আটকে পড়েছেন। আগুন লাগার খবর পেয়ে তারা যখন নিচে নামেন অনেকেই কারখানা থেকে বের হতে পারেননি। কারখানার কর্মীদের এমন তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। তবে ভেতরে কেউ আটকে আছেন কি না নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ১৪-১৬ জনকে ভেতর থেকে উদ্ধার করেছেন। তবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না ভেতরে আরও লোকজন আছে কি না। তবে শ্রমিকরা দাবি করছেন, ভেতরে লোকজন আটকে থাকতে পারেন। ভবনটি নির্মাণে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়েছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাশেম ফুডসের ফ্যাক্টরিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে দুই শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। 

নিহতরা হলেন- সিলেটের যতি সরকারের স্ত্রী স্বপ্না রানী (৪৫) ও উপজেলার গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকার হারুন মিয়ার স্ত্রী মিনা আক্তার (৩৩)। 

এমএসি/এসকেডি