ছুটির দিন রাজধানীর সড়কে যান চলাচল ছিল কম/ ছবি : ঢাকা পোস্ট

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের নবম দিন পাল্টে গেছে রাজধানীর সড়কের চিত্র। কঠোর লকডাউন শুরুর দ্বিতীয় দিন থেকেই রাজধানীতে কমবেশি মানুষ ও যান চলাচল ছিল। আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় একেবারেই ফাঁকা রাজধানীর সড়কগুলো।

শুক্রবার (৯ জুলাই) রাজধানীর আসাদগেট, শুক্রাবাদসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কগুলোয় অল্প সংখ্যক প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল চলাচল করছে। অন্য দিনের তুলনায় রিকশার পরিমাণও তুলনামূলক কম। জন ও যান চলাচল কম হওয়ায় বিধিনিষেধ মানাতে স্থাপন করা পুলিশের চেকপোস্টগুলোতেও তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।
ধানমন্ডি-৩২ এলাকার রাসেল স্কয়ার মোড় ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পাশের চেকপোস্টে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। অবশ্য যানবাহন এবং মানুষের চলাচল কম থাকায় তাদের ব্যস্ততা অন্য দিনের তুলনায় অনেক কম ছিল। 

ফাঁকা চেকপোস্টে ছিল না তৎপরতা

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট নাজমুল হক বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সড়কে মানুষের চলাচল নেই। যানবাহনের সংখ্যাও একেবারে কম। তবে দুপুরের আগ পর্যন্ত রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও বিকেলের দিকে কিছুটা ভিড় বাড়তে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। আমরা চেকপোস্টগুলোয় তৎপর রয়েছি। 

অপরদিকে সড়কের আশেপাশের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও জমজমাট ছিল আবাসিক এলাকার বাজার ও মুদি দোকানগুলো। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই বের হচ্ছিলেন বাজার করতে। তবে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মাঝেও অনেককেই স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে দেখা যায়নি। সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানেও ছিল অনেকের অনীহা।

অলিগলিতে ছিল মানুষের ভিড়

শুক্রাবাদ কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি আলমগীর হোসেন বলেন, শুক্রবার হওয়ায় কমবেশি সবাই সাপ্তাহিক বাজারের জন্য বের হয়েছেন। সকাল থেকেই ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। তবে ভয়ে আছি কখন পুলিশ চলে আসে।  

রাজধানীর সড়কে বিকেলের পর বাড়তে যান চলাচল

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাজধানীতে সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে অকারণে ঘর থেকে বের হওয়ায় এবং লকডাউনের মধ্যে প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় ৩১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৬ লাখ ৭৯০ টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে বুধবার (৭ জুলাই) লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করায় রাজধানী থেকে গ্রেফতার করা হয় ৫২৩ জনকে। যাদের প্রত্যেককে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলামের আদালত ১০০ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক ঘণ্টা করে কারাদণ্ড প্রদান করেন। 

আরএইচটি/এসকেডি