নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে শুক্রবার (৯ জুলাই) রাতে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গের বেশিরভাগ ফ্রিজ নষ্ট হওয়ায় ও জায়গা সংকটের কারণে মরদেহগুলো তিনটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (১০ জুলাই) দুপুর ১২টায় আল-মারকাজুলের ফ্রিজিং গাড়িতে মরদেহগুলো বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢামেক মর্গে এত মরদেহ রাখার জায়গা না থাকায় ৩টি জায়গায় মরদেহ সংরক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে। ১৫টি মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে, ৮টি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ২৫টি মরদেহ রাখা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি হওয়ার পর যাদের স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ ম্যাচ করবে আমরা পর্যায়ক্রমে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করব।

এদিকে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর মুনির বলেন, আমরা ৪৮টি মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করেছি।

রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৫২ শ্রমিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। অধিকাংশ মরদেহই ভবনটির দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

এসএএ/জেডএস