‘মিরসরাই ট্র্যাজেডি দিবস’ জাতীয়ভাবে পালনের দাবি
আজ ১১ জুলাই, মিরসরাই ট্র্যাজেডির দশম বার্ষিকী। ২০১১ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা স্টেডিয়ামে খেলা দেখে শিক্ষার্থীরা একটি ট্রাকে বাড়ি ফেরার পথে মিরসরাইয়ে আবু তোরাব সড়কে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবার মধ্যে উল্টে যায়। এতে ৪৪ জন শিক্ষার্থী এবং একজন অভিভাবক মোট ৪৫ জন নিহত হয়। সেই থেকে দিনটি ‘মিরসরাই ট্র্যাজেডি দিবস’ হিসেবে স্থানীয়ভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে। তাই দিবসটি জাতীয়ভাবে পালনের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
রোববার (১১ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যার ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আব্দুল হামিদ শরীফ, মোহাম্মদ শাহজাহান সিদ্দিকী, অধ্যাপক হাসিনা বেগম এবং নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলা হয়, রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ‘মিরসরাই ট্র্যাজেডি দিবস’টি জাতীয়ভাবে পালনের দাবি জানাচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে এতজন শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনা দেশে নজিরবিহীন এবং অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। ট্রাক চালকের অদক্ষতা এবং মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনায় সন্তান হারিয়ে পিতা-মাতার যে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে, যে বুকভাঙ্গা কষ্ট সইতে হচ্ছে সেজন্য হলেও দিবসটি জাতীয়ভাবে পালন করা উচিত। আমরা এই দিনটিকে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ করারও পক্ষপাতি। কারণ মৃত্যু এবং সংখ্যার বিচারে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও বলা হয়, ‘মিরসরাই ট্র্যাজেডি দিবস’কে জাতীয় দিবস ঘোষণা করলে তা যেমন নিহত শিক্ষার্থীদের শোকার্ত পরিবারের প্রতি উপযুক্ত সম্মান ও সমবেদনা জানানো হবে। তেমনি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি বছর দিবসটি পালনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হবে। দেশে প্রতিদিনের সড়ক দুর্ঘটনায় বহু মানুষ আহত-নিহত হচ্ছে। এর মধ্যে শিশু-কিশোরের সংখ্যাও অনেক।
বিজ্ঞাপন
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন এই ৬ মাসে (২ থেকে ১৫ বছর বয়সী) শিশু-কিশোর নিহত হয়েছে ৪১৮ জন। যানবাহনের যাত্রী হিসেবে ২১১ এবং পথচারী হিসেবে যানবাহনের চাপায়/ধাক্কায় নিহত হয়েছে ২০৭ জন শিশু-কিশোর। নিহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী ৩৪১ জন, শিশু শ্রমিক ৫৮ জন এবং ছিন্নমূল ১৯ জন। আসলে দেশে সড়ক নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। এ অবস্থার অবসান হওয়া জরুরি।
একইসঙ্গে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
পিএসডি/এমএইচএন/জেডএস