রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকার নুরেরচালা সাঈদ নগরের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে জাল নোট তৈরির কারখানা শুরু করেন আব্দুর রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম। কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তারা এই কারখানা পরিচালনা করে আসছিলেন। কারখানা থেকে মাসে তারা কোটি টাকার জাল নোট তৈরি করতেন। সম্প্রতি তাদের এসব কর্মকাণ্ডের গোপন তথ্য পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। 

তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (১২ জুলাই) ভোর থেকে বাসাটিতে অভিযান পরিচালনা করে ডিবি গুলশান।

অভিযানে চক্রের প্রধান আব্দুর রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমসহ পাঁচ জনকে আটক করে ডিবি। অন্যরা হলেন- গার্মেন্ট পণ্য ব্যবসায়ী হেলাল খান, আনোয়ার হোসেন ও ইসরাফিল আমিন।

অভিযান শেষে ডিবি গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, নুরেরচালা সাঈদ নগরের একটি সাততলা বাড়ির ষষ্ঠতলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা তৈরির একটি ঘরোয়া কারখানা আবিষ্কার করা হয়। এরপর জাল টাকা তৈরি এবং বিপণনের কাজে জড়িত এক নারীসহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় কারখানাটি থেকে এক হাজার টাকা ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের প্রায় ৪৩ লাখ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির প্রচুর পরিমাণ উপকরণ জব্দ করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, মূলত আব্দুর রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা কারখানাটি পরিচালনা করত। বাকিরা তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করত। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে তারা কারখানায় জাল নোট ছাপানোর কার্যক্রম বাড়িয়ে দিয়েছিল। তারা প্রতিমাসে কোটি কোটি জাল টাকা ছাপিয়ে মার্কেটে ছাড়ত।

ডিসি মশিউর রহমান বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা খুচরা এবং পাইকারি বিক্রি করছে। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে তাদের কার্যক্রম আরও বাড়তে থাকে। গত তিন বছর ধরে ঈদসহ অন্যান্য উৎসবের সময় জাল টাকা তৈরির কাজে নিয়োজিত থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা বাজারে ছেড়েছে তারা।

তিনি বলেন, ফাতিমা বেগম ২০১৯ সালে হাতিরঝিল এলাকার একটি বাসায় জাল টাকার তৈরি করার সময় অপর সহযোগীসহ গ্রেফতার হয়েছিল। তবে ওই সময় তার স্বামী রহিম পালিয়ে যায়। এর আগে তারা বেশ কয়কবার জাল টাকা অথবা মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল।

এমএসি/জেডএস