পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

যুক্তরাজ্যের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনটি অগ্রহণযোগ্য অ্যাখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, অন্যকে উপদেশ দেওয়ার আগে নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখুন। তারপর অন্যকে উপদেশ দিন।

সোমবার (১২ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের ওই রিপোর্ট তথ্য নির্ভর নয়। তারা নিজের দেশের অবস্থা ভালো করতে পারে না। কিন্তু অন্যদের উপদেশ দেয়। দুঃখের বিষয়, তারা মাতব্বরি করে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে। তারা আগে নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখুক। তারপর অন্যকে উপদেশ দিক। নিজের দেশের অবস্থান ভালো করতে পারে না, অন্যদের নিয়ে ঘাটাঘাটি করে।’

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ‘গৃহবন্দি’ শব্দটি ব্যবহার করার পাশাপাশি মানবাধিকার বিষয়ে নেতিবাচক তথ্য তুলে ধরা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১১ জুলাই) ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেলকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘গৃহবন্দি’ হিসেবে ওই প্রতিবেদনে মন্তব্য করাটা চরম বিভ্রান্তিমূলক, তা ব্রিটিশ দূতকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ড. মোমেন বলেন, ‘তাদের এই অনুশীলন বন্ধ করা উচিত। অমরা চাই, তারা যে রিপোর্ট দিবে সেটা তথ্য নির্ভর হোক। রিপোর্ট তথ্য নির্ভর হলে আমাদের জন্য উপকার হবে। আর যদি বানোয়াট তথ্য দেওয়া হয় তাহলে মোটেই কাজে আসবে না। সবাই মনে করবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে দেওয়া হয়েছে।’

কোনও দেশই ফেরেশতা নয়, কিন্তু কাউকে খামোখা দোষারোপ করা নিম্ন মন-মানসিকতার পরিচায়ক বলে উল্লেখ করেন মোমেন।

রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি স্বীকার করেছেন, তাদের রিপোর্ট আরও তথ্য নির্ভর হওয়া উচিত ছিল। তিনি আমাদের উদ্বেগের বিষয়ে তার সদর দফতরে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।’

এনআই/এমএইচএস